এই প্রবল গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতাবান হিসেবে তার শাসনামলে বিরোধী দল রাখবে না এই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এই জন্যেই দেশের গণতন্ত্র বার বার আওয়ামী লীগের কাছে অবরুদ্ধ হয়। সুতরাং এই প্রবল প্রতাপকারী গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে জিততেই হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ভারত একটি করিডর চায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে তা দিয়েও দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে আগরতলা এটাতো হয়েছে। এখন তারা আরো একটা করিডর চাচ্ছে। এগুলো তারা তলে তলে আগে আলোচনা করে রেখেছিল। যার কারণে পলিসিগতভাবে প্রত্যক্ষভাবে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছে ভারত। দেশের একটা জায়গা দিয়ে দেয়া মানে দেশের ৯০% সার্বভৌমত্ব দিয়ে দেয়া। এটা শেখ হাসিনা করেছেন। এর আগে যেমন গ্যারান্টি পেয়েছিলেন যে নির্বাচন সুষ্ঠ হোক আর না হোক তুমি নির্বাচনে আসো আর না আসো তুমি ক্ষমতায় থাকবে। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আমাদের আত্মনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত করেছিলেন। জিনিসপত্র বাজার থেকে কিনে খেতে হতো না। কিন্তু এখন অনেক জিনিসই ভারত থেকে আমদানি করা হয়। এই অর্থনীতির বিপন্নতা শেখ হাসিনার আমলে। তাই আমাদের এই সংগ্রামে বিজয়ই হতে হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করতে হবে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো: হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ রায়, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।