চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আধুনগর খানহাটে খতিয়ানভূক্ত মালিকানাধীন জায়গায় নির্মিত পাকাভবন খাসজায়গা হিসেবে প্রচার করে মালিকের ভবন উচ্ছেদ প্রচেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। ১০ মার্চ রবিবার বেলা সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জায়গা ও ভবনের মালিক ডাঃ সমশুল হক। লোহাগাড়া উপজেলা সদরের বটতলী মোটর ষ্টেশনের এক হোটেল কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে ডাঃ সমশুল হক বলেন, ১৯৭৯ সনে লোহাগাড়ায় আধুনগর খানহাটে পালপাড়া সড়কের প্রবেশমুখে নিজস্ব খতিয়ানভূক্ত জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। তখন থেকে এ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তিনি। ব্যক্তিগত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে তার নির্মিত ভবন খাস জায়গায় প্রতিষ্ঠিত বলে প্রচার করে আসছে একটি মহল। ২০০৭ সন থেকে এ ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ষড়যন্ত্রকারীরা উক্ত জায়গা থেকে ভবন উচ্ছেদের আবেদন করে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন বরাবরে। জায়গাটি খতিয়ানভূক্ত ও পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ডাঃ সমশুল হক। অবশেষে যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০০৯ সনে উক্ত জায়গাটি মালিকের খতিয়ানভূক্ত বলে আদালত রায় দেন। একই সাথে উক্ত জায়গায় নির্মিত ভবনের স্থীতি বজায় রাখার স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। উক্ত নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে। এমতাবস্থায় ষড়যন্ত্রকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কর্তৃক মালিকের খতিয়ানভূক্ত, উক্ত পাকা ভবন উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ভবন মালিক ডাঃ সমশুল হক জায়গার বৈধতা দাবি করে উক্ত নোটিশের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন গত ১৮ ফেব্রয়ারি তারিখে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হারুনর রশিদ রাসু, শহীদুল হক ও মোহাম্মদ কায়েস আরাফাত।