কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়া এক মাসের শিশু আল-ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। শিশুটির পিতা রাসেল মাঝির দায়ের করা মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে সোমবার (১১মার্চ) সকাল ১১ টায় লাশটি পুনরায় দাফনের একমাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো: আরিফুর রহমান, জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা সুজন হক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) কায়কোবাদ। মরদেহটি তোলার পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে খবরপত্রকে নিশ্চিত করেছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা জাজিরা থানা পুলিশ
উপপরিদর্শক (এসআই) কায়কোবাদ। উল্লেখ্যঃ জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ খোসাল কান্দি গ্রামের বাসিন্দা রাসেল মাঝির শিশুপুত্র আল-ইসলাম ঠান্ডা জনিত কারনে অসুস্থ হলে ৪ ফেব্রুয়ারি জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তার পরিবার। জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে পরের দিন
সেখান থেকে আবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। শিশুটিকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় একই উপজেলার ফকির মাহমুদ আকন কান্দি গ্রামের কবিরাজ (ফকির) রহিম খান জানতে পেরে শিশুর বাবা রাসেল মাঝিকে ফোন করে বলেন, ঢাকা নেওয়ার দরকার নেই তুমি আমার নিকট নিয়ে আসো, আমি তোমার ছেলেকে সুস্থ করে দিবো। ফকিরের কথায় বিশ্বাস করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তার নিকট নিয়ে যান এবং রহিম খান শিশুটিকে কবিরাজী চিকিৎসা দেন। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শিশু আল-ইসলাম মারা যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ঐ কবিরাজ সহ ৫ জনকে আসামী করে জাজিরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির বাবা রাসেল মাঝি। পরে ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে জাজিরা থানা পুলিশ।