রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

ধানমন্ডির ইফতার বাজার: ক্রেতা কম, ফাঁকা রেস্টুরেন্ট

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪

প্রতিবার রোজা এলেই ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোড এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে উৎসবের আমেজ পড়ে যেতা। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইফতার আর সেহরির সময় মুখরোচক নানা আয়োজনের কারণে আলোচনায় আসে এ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো। তবে প্রতিবারের মতো এবার জমে ওঠেনি এ এলাকার ইফতারের আয়োজন। জানা গেছে, সম্প্রতি বেইলি রোডের অগ্নিকা-ের পর সাতমসজিদ রোড এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। অভিযানে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়। কয়েকটি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় সিটি করপোরেশন। এসব কারণে এ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে কমে গেছে ক্রেতা সমাগম। গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রথম রোজার দিনে দুপুরের পর সাতমসজিদ রোড এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য বছরের মতো এ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো ‘ইনডোর’ কোনও আয়োজন করেনি। রাস্তার ওপর ফুটপাতে চৌকি বিছিয়ে এসব রেস্টুরেন্ট ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন। ক্রেতা কম আসবেন ভেবে অনেকে বিকাল তিনটায়ও ইফতার সামগ্রী সাজানো শুরু করেননি। এ ছাড়া দুয়েকটি রেস্টুরেন্টে ইফতার উপলক্ষে ভেতরে ইফতারের আয়োজন করলেও তারা আশঙ্কা করছেন, বেইলি রোডের আতঙ্কের কারণে ক্রেতা সমাগম কম হবে। এ কারণে তারা আয়োজনও করছেন কম।
ধানমন্ডি কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে ইফতার আয়োজন তদারকি করছিলেন শাহরিয়ার হাসান। তিনি জানালেন, অন্যান্য বছরের মতো বিক্রি হবে না মনে করে খুব স্বল্প পরিসরে এবার ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় রোজায় ক্রেতা সমাগম দেখে তারপর আয়োজন বাড়ানোর চিন্তা করবেন তারা।
কয়েকজন বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ইফতারের জন্য স্পেশাল চাপ, কোয়েল পাখির ভুনা, ছোলা-মুড়ি, হালিম, কাবাব ও আস্ত মুরগির রোস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া গতানুগতিক অন্যান্য সব ধরণের আইটেম পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
ক্রেতারা বলছেন, এখনও এই এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে সিটি করপোরেশনের টাঙিয়ে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ড থাকায় তারা এখানে বসে ইফতার করতে ভয় পাচ্ছেন। সাতমসজিদ এলাকায় ফুটপাতের একটি দোকানে ইফতার সামগ্রী কিনছিলেন বেসরকারি চাকুরে শাহীন আহমেদ। তিনি জানান, অন্যান্য বছর পরিবারসহ এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোতে বসেই ইফতার করা হয়। তবে এবার পরিবারের লোকজনের ভয়ের কারণে আগে থেকেই ইফতার সামগ্রী কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে সাতমসজিদ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোর মালিকেরা মনে করছেন সিটি করপোরেশনের অভিযানের কারণে এলাকার মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব সরাসরি তাদের ব্যবসায় এসে পড়ছে। চিকিং নামের একটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার রাজিব চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সিটি করপোরেশনের অভিযানের সময় আমাদের এখানে কোনও অনিয়ম পাওয়া যায়নি। কিন্তু পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এখানেও ক্রেতারা আসছেন না।- বাংলা ট্রিবিউনর্




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com