বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

কুমিল্লায় বেগুনের বাম্পার ফলন

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুমিল্লার লাউ বেগুন চাষ। দূর থেকে প্রথমে কেউ দেখলে মনে হবে লাউ। কিন্তু কাছে গেল ভুল ভাঙে। মাঝারি আকারের লাউয়ের মতো সবজিটি অতি পরিচিত বেগুন। জাতের নাম বারি-১২। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে বেগুন লাউ চাষ করছেন কৃষকরা। প্রতিটি বেগুনের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। এই বেগুন দেখতে ও কিনতে মানুষ ভিড় করছেন। স্বাদ ভালো ও ওজন বেশি হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর। দাম পেয়ে খুশি কৃষক।
সরেজমিন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড় শ্রীমন্তপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জমির কোনোটিতে বেগুন, কোনোটিতে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। কিছু বেগুনের জমি নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। জমির পাশে দেখা গেল মানুষের ভিড়। স্থানীয় ক্রেতা আবু জাফর বাসসকে বলেন, বারি বেগুন-১২ নিয়ে মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। এত বড় বেগুন আর দেখিনি। স্বাদ ভালো। তাই পুনরায় কিনতে এসেছি। স্থানীয় কৃষক মনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে বারি বেগুন-১২ প্রথমবারের মতো চাষ করেছি। ৩০ শতাংশ জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে নিতে হয় না। জমি ও বাজারে যাওয়ার পথেই কাড়াকাড়ি করে কিনে নিয়ে যায়। সাধারণ বেগুন ২৫-৩০ টাকা হলেও এটি ৪০-৪৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়। স্থানীয় উপসহকারী কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব বাসসকে বলেন, এখানে কয়েকটি প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হয়েছে। ভালো ফলন হয়েছে। এ বেগুনে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। ভালো ফলনের কারণে এ বেগুন কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল বলেন, ২০২১ সালে বারি বেগুন-১২ সম্পর্কে ধারণা পাই। এ বেগুনের বীজের জন্য বারিতে চিঠি লিখি। বারি কুমিল্লা কার্যালয় থেকে কিছু বীজ পাই। এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেই। ভালো ফলন হয়েছে। বড় আকারের বেগুন দেখে স্থানীয়রা অবাক হয়েছে। আমরা আশা করি এ বেগুন চাষ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, বারি বেগুন মূলত এসেছে পটুয়াখালীর একটি রাখাইন সম্প্রদায় থেকে। তারা দীর্ঘদিন চাষ করত। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সেখান থেকে বীজটি সংগ্রহ করেছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বারি বেগুন-১২ নামে মাঠে ছাড়ে। জেলায় এ বছর ২০টি প্রদর্শনী হয়েছে। এটি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর বীজ সংগ্রহ করে কৃষক পুনরায় চাষ করতে পারবেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com