শিক্ষ মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, সাধারণ শিক্ষায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে চাকুরি প্রাপ্তির হার প্রায় ২০ শতাংশ, অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষায় চাকুরি প্রাপ্তির হার ৭০ শতাংশ। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের কারিগরি শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশাল জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবনভিত্তিক শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। দক্ষতা বৃদ্ধির অন্যতম হাতিয়ার কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা। ১৬ মার্চ শনিবার দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন অ্যাকসেলারেটিং অ্যানড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস অর ইকনোমিক ট্রান্সফরমেশন এর আয়োজনে স্কিলস কম্পিটিশন কারিগরি শিক্ষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও প্রচারণাসহ শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শিক্ষা বিকাশের লক্ষ্যে রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক স্কিলস ও ইনোভেশন প্রতিযোগিতার ফেস্টুন ও কবুতুর উড়িয়ে উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। দিনব্যাপী আয়োজিত এই উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় রংপুর অঞ্চলের ১৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নির্বাচিত সর্বমোট ৩৭টি প্রকল্প প্রদর্শিত হয়। মূল্যায়ন কার্যক্রমের পর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। র্যালিতে প্রায় ১০০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। এসময় অংশগ্রহনকারীরা বিভিন্ন প্লাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানারের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব ফাতেমা জাহান, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম এবং দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মোঃ আজিজ তাহের খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অ্যাসেট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ।