নীলফামারীর ডোমার বিএডিসিতে ভিত্তি বীজআলু উৎপাদন করে কৃষকের চাহিদা মেটাচ্ছে। এবার প্রায় ৪১০ এক জমিতে বিভিন্ন ধরনের বীজআলু উৎপাদন করে প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খামারটিতে বীজআলু চাষাবাদের পাশাপাশি বোরো, আউশ, আমন ধানও চাষাবাদ করা হয়। উৎপাদিত সব ফসল বীজ হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। খামার সূত্র জানায়, খামারে এস্টারিক্স, সানসাইন, সানতানা, কার্ডিনাল, মিউজিকা, কারেজ,গ্রানোলা, বারি আলু-৬২, ডায়মন্টসহ ২৬ জাতের আলুর প্লান্টলেট করা হয়। এতে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫টি চারা তৈরি হয়। প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন বীজআলু চাষি পর্যায়ে বিপণন করা হয়। এছাড়াও শিল্পে ব্যবহার, রফতানি উপযোগী এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সূত্র জানায়, ১৯৫৭-৫৮ সালে সরকার ডোমার খামারটি প্রতিষ্ঠা করে। তৎকালীন কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে খামারের কার্যক্রম শুরু হয়। বীজআলু উৎপাদনে অধিক উপযোগী মনে করে ১৯৮৯-৯০ সনে খামারটি আলুবীজ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়। খামারের কাজ করতে আসা শ্রমিক আব্দুল জলিল বলেন, ডোমার বিএডিসি ভিত্তি বীজআলু উৎপাদন খামারে আমরা কাজ করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছি। আগে আমার বাড়ির কাজ করে বসে থাকতে হতো। এখন এখানে কাজ করে পরিবারসহ ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করাচ্ছি।
বিএডিসির সহকারী পরিচালক সুব্রত মজুমদার বলেন, বিভিন্ন জাতের আলু হতে প্লান্টলেটের মাধ্যমে যে মিনিটিউবার (চারা) উৎপাদন করা হয়েছে সেগুলো ভাইরাস মুক্ত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ও সহনশীল। খামারটিতে উৎপাদিত সব আলু বীজ হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। আধুনিক যান্ত্রিকীকরণ পটেটো প্লান্টার দ্বারা আলুবীজ রোপণ, ডিগার দ্বারা আলু উত্তোলন করে গ্রেডার মেশিন দ্বারা বীজ আলু গ্রেডিং করে নিজস্ব হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়।