জেলায় এ বছর উচ্চ ফলণশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা সময় মত গম চাষ করতে পারার পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষি অফিস ও কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) আওতাধীন ‘বাংলাদেশ গম গবেষণা ইনস্টিটিউট’ উদ্ভাবিত গমের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল গম চাষ করেছেন কৃষকরা। এ বছর জেলায় মোট ৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর উপজেলায় ১ হাজর ৩৭৫ হেক্টর, শ্রীপুরে ২ হাজার ৫০ হেক্টর, শালিখায় ৩৩৫ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে ২০ হাজার ২৮৪ মেট্রিকটন গম উৎপাদনের সম্ভব্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, এ মৌসুমে জেলায় বারি গম-৩০,৩২ ও ৩৩ নামের উচ্চফলনশীল জাতের গমের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের পরমর্শ অনুযায়ী গম চাষের সময় রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য গমের বীজ শোধন করে নেয়ায় বীজ বাহিতো রোগের সংখ্যা অনেকাংশেই কমেছে। এছাড়া কৃষকরা সময় মত গম ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করায় রোগ বালাই তেমন দেখা দেয়নি। এ কারণে গমের আবাদ ভালো হয়েছে।
মাগুরা সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ বাবু মল্লিক জানান, তিনি এ বছর ৪৬ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল বারি-৩০ জাতের গমের চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষেত পরিচর্যা করায় গম ভালো হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ১৮ মণ গম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। একই গ্রামের অপর কৃষক জাকির হোসেন জানান- ২৮ শতক, মামরুল ইসলাম ২ বিঘা, রব শেখ ২ বিঘা জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের গমের চাষ করেছেন। তারাও ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, মাগুরায় উচ্চ ফলনশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর মাগুরায় গম ভালো হয়েছে। রোগবালাই তেমন হয়নি। মাঠে ফসলের অবস্থাও ভালো। চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।