ময়মনসিংহের শিল্পাঞ্চল ভালুকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়ক ও ফুটপাত যেন হকারদের স্থায়ী দখলে চলে গেছে। ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকানপাট। পাশপাশি সড়কজুড়ে সারাক্ষণই থাকছে অবৈধ পার্কিং। এতে পথচারীদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, একইসঙ্গে লেগে থাকছে যানজট। মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও অভিযানের পর মুহূর্তেই আবার দখল হয়ে যায় ফুটপাত। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কার্যকরী কোনো উদ্যোগ নিতে দেখছেন না তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সিডস্টোর, মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাত পুরোটাই হকারদের দখলে চলে গেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সহ ভালুকা বাজার রোডেরও একই অবস্থা। কোথাও কোথাও হকাররা ফুটপাত ছেড়ে সড়কের ওপর চলে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব ফুটপাত দখল করে হকারা ব্যবসা করছেন বছরের পর বছর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হকার জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফুটপাতের ব্যবসা নিয়ে কয়েকটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা স্থানীয় প্রভাবশালীব্যক্তিদের দোকান ভাড়া বাবদ টাকা দিয়ে থাকেন। টাকা না দিলে ‘সিস্টেমে সরিয়ে’ দেওয়া হয় তাদের। অনেক বড়ব্যবসায়ীও টাকা নিয়ে হকারদের বসতে দেন আবার অনেকে কর্মচারী দিয়ে নিজেরাই করেন ব্যবসা। কয়েকজন পথচারীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ফুটপাতের দোকানপাট, রাস্তার অবৈধ পার্কিং এর জন্য চলাচল করতে অসুবিধা হয়। মাঝেমধ্যেই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনার মতো ঘটনাও।
তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, দ্রুত যাতে ফুটপাতের এইসব দোকান উচ্ছেদ করে ফুটপাত ব্যবহার উপযোগী করা হয়। ভালুকা সিনিয়র সিটিজেন সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান বলেন, আমি মনে করি বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতের এই দোকান গুলা যদি অন্যত্র কোথাও স্থানান্তর করে দেওয়া যায় তাহলে মানুষের চলাচলের জন্য ভালো হবে। মানুষও এটা চায়। এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খান বলেন, আমি এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখি কার বা কাদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।