এক টুকরো জমি থাকবেনা অনাবাদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণার পর এবারই দ্বীতিয়বারের মতো বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের দীর্ঘদিনের পতিত চরে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। চরের বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে প্রথমবারে ব্যাপক সফলতা পেয়ে এবারো দ্বীতিয়বারের মতো তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন চাষীরা। পুরো চরে এখন শোভা পাচ্ছে মৌসুমের রসালো ফল তরমুজ। ফলন ভালো হওয়ায় ওই এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও আগামী বছর তরমুজ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দক্ষিণ কুড়িরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও কৃষি কাজের সাথে যুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের চরের জমির মালিকদের কাছ থেকে ৩৫ একর জমি লিজ নিয়ে আমরা সাতজন কৃষক মিলে ড্রাগন ও সুপার ড্রাগন জাতের ৪০ হাজার তরমুজ বীজ বপন করেছিলাম। ইতোমধ্যে ক্ষেতের অধিকাংশ তরমুজ গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। এখন পর্যন্ত ফল পরিপক্ক না হওয়ায় বিক্রি শুরু করা হয়নি। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তরমুজ বিক্রি শুরু করা হবে। কৃষক হাসান আলী জানান, ৩৫ একর জমির লিজ, চাষাবাদ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। শেষপর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রায় কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সরিকল ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চরের অনাবাদী জমিতে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষের বিষয়টি জানতে পেরে বীজ বপনের শুরু থেকেই কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। শেষপর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। আগামী বছরে গৌরনদীর চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ আরও সম্প্রসারণ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন মোল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ইঞ্চি কৃষি জমিও যাতে ফাঁকা না থাকে। সেই লক্ষ্যে কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে পতিত জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে পুরো ইউনিয়নজুড়ে আগের চেয়ে কৃষি আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।