গাইবান্ধা সদর উপজেলাধীন মালিবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোজাহার আলী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস (লিভারের জটিল অসুখ) রোগে আক্রান্ত হয়ে অসহায় অবস্থায় বেঁচে আছেন। অভাবগ্রস্থ এই ব্যক্তি প্রায় দু বছর ধরে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পরে আছেন। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসা খরচ হবে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। এতো পরিমান টাকা না থাকার কারনে তিনি চিকিৎসা করতে পারছেন না। জানা যায়, মোজাহার আলী বর্তমান রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখান থেকে তাকে জানানো হয়েছে, তার লিভার প্রায় সম্পূর্ণ অকেজো হওয়ার পথে। সাধারণ চিকিৎসায় এটা আরোগ্য হওয়া সম্ভব নয়। যদি কেউ মোজাহারকে লিভারদান করে, কিংবা কোনো মরদেহ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর লিভার সংগ্রহ করে মোজাহারের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলেই কেবল তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে যার শরীর থেকে লিভার নেওয়া হবে তার রক্তের গ্রুপ মোজাহারের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হতে হবে। সেক্ষেত্রে লিভার (নির্দিষ্ট অংশ) দানকারীর ব্যবস্থা হলেও, ব্যবস্থা হয়নি অর্থের। দাতার শরীর থেকে এ লিভার মোজাহার আলীর শরীরে প্রতিস্থাপন করতে হলে দুজনকে যেতে হবে ভারতে মাদ্রাজে। কেননা, দেশে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। আর ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করতে ব্যয় হবে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা। অথচ, অসহায় মোজাহারের বাঁচার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই এত টাকা ব্যয় করার। এর আগে মোজাহার , গাইবান্ধা ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সরকারি সাহায্য হিসেবে কোন টাকা অনুদান পাননি। আর, এতদিনে চিকিৎসার বাকি টাকা এসেছে আত্মীয় স্বজনের সহায়তা থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছেÍ সম্বলহীন মোজাহারের চিকিৎসার খরচ দেন না তার ছেলেরা। তারা নিজেরাই সম্বলহীন। মোজাহার আলী বলেন, এ পৃথিবীতে সবাই তো বাঁচতে চায়। আমিও বাঁচতে চাই। কিন্তু আমার নেই অর্থ, নেই চিকিৎসা করার ক্ষমতা। পরিবার থেকে একজন লিভার দান করতে চেয়েছেন, কিন্তু লিভার প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় বহন করে সুস্থ জীবনে ফিরে আসা আমার কাছে আকাশ-কুসুম কল্পনা মাত্র! তাইতো আমি দেশবাসীর সহায়তা চাই। বিশেষত কোনো উচ্চবিত্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমাকে সহায়তা করেন তাহলে হয়তো আমার জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা যাবে।