হতদরিদ্র এক নারীর জমি থেকে বড় একটি আম গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচাতো মামার বিরুদ্ধে। কুলসুম বেগম এমন অভিযোগ করেছে চাচাতো মামা হাদী জিন্নার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় উপজেলার বানা ইউনিয়নের রদ্রুবানা গ্রামে। কুলসুম বেগম জানান, আমার স্বামী মান্নান মোল্যা শারীরিক প্রতিবন্ধী কোনো কাজ করতে পারে না। মানুষের সাহায্য নিয়ে চলে আমাদের সংসার। আমার নানা মায়ের নামে ৯ শতাংশ লিখে দেওয়া জমিতে স্বামী ও এক ছেলে নিয়ে বসবাস করছি। নানার লাগানো আম গাছটি জোর করে কেটে নিয়েছে আমার মায়ের চাচাতো ভাই হাদী জিন্না। মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়াতে মায়ের জমিতে বসবাস করছি। প্রায় ১৫-১৬ বছর ধরে আমার মা নিখোঁজ থাকার পর ২০২১ সালের জুন মাসের দিকে তাঁকে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার হাফানিয়া বাজারে খুঁজে পাওয়া যায়। বাড়িতে এনে কিছু দিন রাখার পর আবারও নিখোঁজ হয়ে যায়। ২৮ মার্চ হাদী জিন্না ও তাঁর ছেলে সেনা সদস্য হাদী ফরিদ হোসেনের হুকুমে আমাদের জমি থেকে আম গাছটি কেটে নিয়েছে। কুলসুম বেগমের স্বামী মান্নান মোল্যা জানান, আমার শাশুড়ির একমাত্র সন্তান আমার স্ত্রী, সে সুবাধে আমার শাশুড়ির ৮ শতাংশ জমির ওপর আমারা বসবাস করছি। মামা শশুর হাদী জিন্না ও তাঁর ছেলে হাদী ফরিদ হোসেন আমার শাশুড়ির জমি থেকে জোর করে বড় একটি আম গাছটি কেটে নিয়েছে। আমরা অসহায় বিধায় কিছু করতে পারছি না। এ নিয়ে হাদী জিন্না ও তাঁর ছেলে সেনা সদস্য হাদী ফরিদ হোসেন বলেন, আমাদের জমি থেকে আমরা গাছ কেটেছি। আমাদের নামে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেটা মিথ্যা। আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. সেলিম রেজা বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।