ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই। এই ঈদ উপলক্ষে জামালপুরে জমতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেট-বিপণিবিতান, ফ্যাশন হাউজ, বিভিন্ন কসমেটিক্স এর দোকান , জুতার দোকান এবং কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। সেই সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুটপাতের দোকানিরা। ক্রেতাদের এমন সমাগম দেখে এবারের ঈদে ভালো বিক্রির আশা করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি তার পরেও ঈদ বলে কথা সাধ্যের মধ্যেই পরিবারের জন্য কেনাকাটা করছেন তারা। মঙ্গলবার (২ মার্চ) শহরের গেটপাড় , কথাকলি মার্কেট , তমালতলা , সকাল বাজার ও বকুলতলার মার্কেট-বিপণিবিতান ফ্যাশন হাউজ এবং শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যা নামার পর থেকেই ঈদ কেনাকাটা করতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা এবং ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরাও। বিশেষ করে দিনের বেলার যানজট ও মানুষের ভিড় এড়িয়ে নিরিবিলিতে কেনাকাটা করতে চান ক্রেতারা তাই ইফতারির পর তুলনামূলক ভিড় হচ্ছে মার্কেটগুলোতে। বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এসব জায়গায় পোশাকে নতুনত্বের সঙ্গে দামের তারতম্য রয়েছে। প্রতিটি পোশাকেরই দাম কিছুটা বেড়েছে। জামালপুর শহরের তমালতলা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ীরা বলেন, পবিত্র রমজান মাসের ১৫ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের মোটামুটি উপস্থিতি হচ্ছে কিন্তু দিনের বেলায় ক্রেতাদের সংখ্যা তুলনামূলক কম কিন্তু সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে দোকানে ভালো বিক্রি হচ্ছে। সবকিছু মিলে এবারের ঈদে ভালো বিক্রির সম্ভাবনা আছে। শহরের তমালতলা এলাকার আরেক কাপড় ব্যবসায়ী নূরে আলম জানান, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দোকানে সব ধরনের কাপড় উঠিয়েছি কিন্তু সেই তুলনায় বিক্রি কম হচ্ছে আশা করি আরো কয়েকটি রোজা যাওয়ার পর ভালো বিক্রি করতে পারবো। শহরের বকুলতলা এলাকার এক কাপড়ের ব্যবসায়ী বলেন, এবার ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজা ১৫ টা যাওয়ার পর ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে। বিকেলে বাবা আর মেয়ের জন্য জুতা কিনতে এসেছেন মোতাক্কাবির হোসাইন তিনি বলেন, বড়দের আর ছোট বাচ্চাদের জুতার দাম কাছাকাছি আমি আমার বাবার জন্য এক জোড়া জুতা কিনলাম ১৩ শ টাকায় আর আমার ৭ বছরের মেয়ের জন্য এক জোড়া জুতা কিনলাম ১২শ টাকায় তিনি আরও বলেন বাচ্চা ও বড়দের ভালো কালেকশন আছে প্রায় সব দোকানেই কিন্তু দাম অনেক বেশি। বাচ্চাদের জিনিসের দাম আরেকটু কম হলে ভালো হতো। ফারজানা আক্তার সাথী নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আমার হাজব্যান্ড একজন ব্যবসায়ী সব সময় ব্যস্ত থাকেন তিনি। তাই তার জন্য পাঞ্জাবি, প্যান্ট ও জুতা নিলাম এখনো বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করিনি আবার আসতে হবে। গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি তবে পছন্দমতো কিনতে পেরে খুশি। এদিকে গত রবিবার (১মার্চ) বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে ট্রাফিকে কর্মরত অফিসারদের সাথে শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশিং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে থাকা জনসাধারণ পরিবারের সাথে ঈদ উদ্ যাপন করতে বাড়ি ফিরবে। সাধারণ জনগনের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে জন্য ট্রাফিকের রোড ম্যাপ ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ জামালপুর মো. সোহেল মাহমুদ পিপিএমসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও ট্রাফিকের কর্মরত সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যবৃন্দ। সরেজমিনে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে শহরের যানজট নিরসনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে রয়েছে তাদের অবস্থান।