সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

এক দোকানেই পছন্দের পাঞ্জাবী জমে উঠছে বগুড়ায় ঈদ বাজার

বগুড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

রমজানের শুরুতেই ঈদের বার্তা পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে। তাই অনেকে রমজানের সূচনাতেই ঈদের কেনাকাটায় নেমে পড়েন। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে বগুড়া ও আশপাশের উপজেলার জমে উঠেছে ঈদ বাজার। বিভিন্ন কাপড়ের মার্কেট গুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। বিপণী বিতান, শর্পিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে ফুটপাতের হকারের দোকান পর্যন্ত সর্বত্র বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ও পদচারণায় মুখরিত বাজারের প্রায় প্রত্যেকটি দোকান। বুধবার সকালে সরজমিনে বগুড়ার শেরপুর উত্তরা প্লাজা মার্কেটের ২য় তলায় তালুকদার ফ্যাশান হাউজে দেখা যায়, পাঞ্জাবী দোকানে তরুণদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে সুলতান, সুফী, এলিগান, স¤্রাটসহ ভালো কালেকশানের পাঞ্জাবী। বিভিন্ন রকমের বাহারি পাঞ্জাবিতে সাজানো হয়েছে দোকান। উচ্চ-মধ্যম-নিম্ন শ্রেণির লোকদের ভিড়ে লোকারণ্য মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিং মল। তালুকদার ফ্যাশানের সত্তাধিকারী মোঃ শামীম আহম্মেদ জানান, ১৮ রমজানের পর থেকে ক্রেতারা পাঞ্জাবী দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। বেচাবিক্রি ভালো বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, আমরা এখানে সকল শ্রেণী পেষার মানুষের কথা ভেবে ১০ থেকে ৫০% পর্যন্ত ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে সকল ধরনের পাঞ্জাবী এখানে রয়েছে। বগুড়া জেলার মধ্যে আমরাই সকল পছন্দের পাঞ্জাবী ও ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। তালুকদার ফ্যাশানে পাঞ্জাবী কিনতে আসা শাকিল আহম্মেদ বলেন, এ বছর কাঙ্খিত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেটের মধ্যেই এখন পছন্দ করতে হচ্ছে। যেসব পণ্য পছন্দ হয়, তার দাম এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া আগের বছরের তুলনায় অনেক পণ্যেরই দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধি পেলেও ঈদ বলে কথা। প্রিয়জনকে ঈদ উপহার দিতে হবে। এখানে এসে অন্য কোথাও ঘুরতে হয়নি। পছন্দের সবকিছু পেয়েছি। অন্য দোকানগুলোতে বাহারী ডিজাইনের থ্রি পিস, শিশুদের জামা ও পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট দিয়ে দোকান-শপিং মল সাজানো হয়েছে। এ বছর ঈদ গরমের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় শুতি কাপড়ের চাহিদা একটু বেশি। ক্রেতা জেসমিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাকের দাম একটু বেশি। এ বছর প্রতিটি থ্রি পিসের ৫ থেকে ৭ শত টাকা দাম বেড়েছে। একই পোশাক একেক দোকানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলেন, সেলাই করা থ্রিপিস বিক্রি হয় ২৫০-৭০০ টাকায়। এ ছাড়া জর্জেট, সুতি, বাটিক, শিফনের ওড়না ৭০-১৭০ টাকায়, বিভিন্ন রকমের শাড়ি ৩৫০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com