বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন

বিশ্বের সুখীতম দেশ ফিনল্যান্ডে রক্তারক্তি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

কয়েকদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল বিশ্বের সুখীতম দেশ ফিনল্যান্ড। এবার রক্তারক্তি কা- ঘটে গেলো সেখানে । রাজধানী হেলসিঙ্কির উত্তরে একটি স্কুলে ১২ বছর বয়সী এক পড়ুয়া গুলি চালায়, তাকে হেফাজতে নেয়ার আগে সে একজন সহপাঠীকে হত্যা করে এবং অন্য দুজনকে গুরুতরভাবে আহত করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফিনল্যান্ডের চতুর্থ বৃহত্তম শহর ভান্তার ভিয়েরতোলা স্কুলে প্রায় ৮০০ জন ছাত্র এবং ৯০ জন কর্মী রয়েছে। এক থেকে নয় গ্রেডের শিশুরা অর্থাৎ ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী পড়ুয়ারা এই স্কুলে যায়। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ স্কুলে ঢুকে আচমকাই গুলি চালাতে থাকে ১২ বছর বয়সী ওই পড়ুয়া। ক্লাসরুমের মধ্যেও গুলি চলেছে বলে অভিযোগ। গুলিবৃষ্টির মধ্যে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্র মারা গেছে এবং দু জন পড়ুয়া গুরুতর আহত হয়েছে । তাদের সকলেরই বয়স ১২ বছর। গুলি চলার খবর পেয়েই স্কুল চত্বরে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ। সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়, কেউ যেন বাড়ি থেকে না বের হয়।
অপরিচিতদের দেখলেও দরজা না খুলতে পরামর্শ দেয় পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শী ইলতালেহতি পত্রিকাকে বলেছেন যে ‘স্কুলের প্রাঙ্গন জুড়ে গুলির শব্দ প্রতিধ্বনিও হয়েছে। প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি এটি কিসের শব্দ । তারপর একটি ভয়ানক চিৎকার শোনা যায় এবং শিশুরা উঠোন পেরিয়ে দৌড়াতে শুরু করে। ‘পুলিশ বলেছে যে, সন্দেহভাজন ওই ছাত্রকে হেলসিঙ্কিতে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তার পরিচয় প্রকাশ করেনি স্থানীয় পুলিশ।
ফিনল্যান্ডের বহু নাগরিকের কাছেই লাইসেন্স-সহ বন্দুক রয়েছে। কারণ ফিনল্যান্ডের অনেকেই অবসর সময়ে শিকার করতে পছন্দ করেন। তবে বেশ কিছু কড়াকড়িও রয়েছে বন্দুকের আইনে। তা সত্ত্বেও কী করে ১২ বছরের পড়ুয়ার হাতে এল বন্দুক, উঠছে প্রশ্ন। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত ফিনল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারি রান্তানেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দিনের শুরুতেই একটা শক পেলাম। পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যরা এখন কেমন মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে, আমি সেটা কেবল অনুমান করতে পারি।”
প্রধানমন্ত্রী পেটেরি অর্পো বলেছেন যে, তিনি গোটা ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। ফিনল্যান্ড ২০০০ সালের গোড়ার দিকে স্কুলে দুটি ভয়ঙ্কর গুলিবর্ষণের সাক্ষী হয়েছিল। ২০০৭ সালের নভেম্বরে, হেলসিঙ্কির প্রায় ৫০কিলোমিটার উত্তরে জোকেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন ১৮ বছর বয়সী তরুণ গুলি চালায়, যার ফলে প্রধান শিক্ষকসহ ছয়জন নিহত হয় । এক বছর পর, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে, ২২ বছর বয়সী মাত্তি জুহানি পশ্চিমা লীয় শহর কাউহাজোকির একটি ভোকেশনাল স্কুলে ১১জনকে হত্যা করেছিল। জার্নাল অফ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান স্টাডিজ ইন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রাইম প্রিভেনশনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে, তারপর থেকে, শত শত স্কুলে গুলি চালানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com