হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম স্থান বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাধবপাশার দূর্গাসাগরে আজ ভোর রাত থেকে দিন ব্যাপী স্নানোৎসব শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল কয়েক হাজার পুণ্যার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মাধবপাশার সাগর পাড়ের এক কিলোমিটার এলাকা। হে মহাভাগ দূর্গা, হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর-এ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে জগতের যাবতীয় সংকীর্ণতা ও পংকিলতার আবরণে ঘেরা জীবন থেকে পাপ মুক্তির বাসনায় হিন্দু পুণ্যার্থীরা দূর্গাসাগরে অষ্টমী স্নান শুরু করবেন। রাত ১টা ৫৫ মিনিট ১১ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে তিথি শেষ হবে আজ মঙ্গলবার রাত ৩টা ৪৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে। স্নানোৎসব সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে সেখানে পুরো এক কিলোমিটার এলাকায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। প্রায় ২শত ৪৩ বছর ধরে চলে আসা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জগতের যাবতীয় সংকীর্নতা ও পঙ্কিলতার আর্বতে ঘেরা জীবন থেকে পাপ মুক্তির বাসনায় হিন্দু পূন্যাথীদের র্দূগা সাগরে স্নান উৎসবে যোগ দিতে আসছেন ভারত ,নেপালসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজারো মানুষ। সাগরপাড়ে ইতিমধ্যেই সাধু সন্ন্যাসীরা সমবেত হয়ে ভক্তিমূলক গানবাজনা শুরু করেছেন। দূর্গাসাগরের চারিদিকে ১০ টি ঘাটের মধ্যে মুলঘাটে জড়ো হয়ে তিথি হিসাব করে স্নান করেন হাজারো পুণ্যার্থী। গঙ্গাস্নান উপলক্ষে দূর্গাসাগরের চারিদিক ঘিরে বিভিন্ন স্থানে বসেছে মেলা। মেলায় আগত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পশরা সাজিয়ে বসেছে। দর্শনার্থিদের ভিরে মেলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো জমে উঠেছে। এখানে স্বান করতে আসা পূর্ণার্থী মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন থানার পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থান জন্য পুলিশ সদস্যদের রাখা হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোনে নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য ১৭৮০ সালে ৪৬ একর জমির উপর রাজা কনদভ্য তার স্ত্রী দূর্গাদেবির নামে দূর্গা সাগরটি খনন করেন। সেই থেকে এই দিঘীতে স্থানীয় ও দেশ বিদেশের পূর্নার্থীরা এখানে স্নানে অংশ নেয়।
সংবাদ প্রকাশের জের