দানাদার ফসল কাউন চাষ হারিয়ে যাচ্ছে। আগের মতো কাউন চাষ এ জেলায় আর তেমনভাবে হচ্ছে না। কাউন চাষের আবেদন দু-দশক আগেও ছিল। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে কাউনের ভাত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকতো। সময়ের ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ কাউনের চাষকে পেছনে ফেলে নিয়ে এসেছে বছরে তিন-চার ফসলী উৎপাদন।
কাউনের চালের পায়েস খেতে ভাল লাগে, এছাড়া কাউন গাছ জমিতে পচে ভাল সার তৈরী হয়। জমির উর্বরা শক্তি বাড়ে। এখনও কিছু কিছু কৃষক ছোট পরিসরে এর চাষ টিকিয়ে রেখেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে এর পরিচিতি ধরে রাখতে কাউন চাষের প্রতি মনোযোগ বাড়ানো দরকার বলে কৃষকেরা মনে করছেন। কৃষি কর্মকর্তা সাফিয়ার রহমান জানান, কৃষি বিভাগ সব রকমের রবিশস্যের চাষাবাদ করতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছে। বর্তমানে কাউনের চাল ৪০ টাকা কেজিতে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের সূত্র মতে জেলায় ৫ হেক্টর জমিতে কাউন চাষ হয়েছে।