খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট জেলার সারা মাঠ জুড়ে বোরো ধানের চারা গুলো এখন সবুজ রং ধারণ করেছে। সেজেছে যেন এক নতুন রুপে ।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩-২০২৪ রবি ফসল চাষ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭ শ ২৫ হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর । লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সর্বশেষ জেলায় ৬৯ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের চাষ হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটে কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলায় ৬৯ হাজার ৭ শ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬২ হাজার ৯ শ ৯০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৬ হাজার ৭ শ ৩৫ হেক্টর জমি। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মে.টন। উপজেলা ভিত্তিক বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৮১৮ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ১৯ হাজার ৯ শ ৪৫ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১০ হাজার ৩ শ ৩৬ হেক্টর, ক্ষেতলালে ১০ হাজার ৫ শ ১৬ হেক্টর এবং কালাই উপজেলায় ১২ হাজার [শেষ পৃষ্ঠার পর]
১ শ ১০ হেক্টর জমিতে। বোরো চাষ সফল করতে জেলায় উফশী জাতের ৩ হাজার ৩ শ ৫৮ দশমিক ৪ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৩ শ ৯৮ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়। জয়পুরহাট জেলার সারা মাঠ জুড়ে বোরো ধানের চারা গুলো এখন সবুজ রং ধারণ করেছে। সেজেছে যেন এক নতুন রুপে । কোথাও কোথাও ধানের শীষে হাল ধরেছে আবার কিছু এলাকায় পাক ধরেছে। কোথাও ধানের শীষ বের হওয়ার পথে রয়েছে। আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হবে এমন প্রত্যাশার কথা জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বিএডিসি (বীজ) কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বোরো ধানের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে।
জেলায় বোরো চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে বাসস’কে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।