কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়াখালী রেঞ্জ অফিস সড়ক সংলগ্ন রিজার্ভ বনভুমি দখল করে ঘর তৈরীর হিড়িক পড়েছে। বাকী নেই রেঞ্জ কর্মকর্তা বা বিট অফিস পাড়াও। ফাসিয়াখালী রেঞ্জের সামনের বনভুমিতেই তৈরী হয়েছে ৫০ শতক জমি দখল করে ব্যবসায়ি ওসমান গণি গত মার্চে তৈরী করেছে ৭২ কক্ষ বিশিষ্ট বাণিজ্যিক মুরগির খামার। রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন বললেন একবার উচ্ছেদ করেছি তারা (জবরদখলকারীরা) আবারো ঘর তৈরী করায় তাদের বিরোদ্ধে বন মামলা দিয়েছি। এদিকে মানিকপুর বনবিট অফিসের ৩০ গজের ভিতরে আন্ত মহাসড়ক সংলগ্ন রিজার্ভ বনভুমিতে তৈরী হচ্ছে দুইটি বহুতল পাকা বাড়ী। অফিস সংলগ্ন হলেও বিট অফিসার আলাউদ্দিন বললেন ওই প্রবাসী মনজুরের বাবা বনজায়গীরদার ছিল! সেই সুবাধে বাড়িটি তৈরী করছে। এভাবে বনভুমি দখলে নিয়ে পাকা আধা পাকা ও বহুতল এবং বাণিজ্যিক ভবন নির্মানের হিড়িক পড়েছে। খবর নিয়ে জানা যায়, এসব তৈরী হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ম্যানেজ করে। সত্যতার প্রমান মেলে অবৈধ জবর দখলকালে বন বিভাগের নিষ্ক্রিয়তা। এছাড়াও সংরক্ষিত বনভূমিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দিয়েছে অবাধে বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতরে বসবাসে’র দিকে ঝুঁকছে মানুষ। অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগ মাঝে মধ্যে কিছু অভিযান পরিচালনা করলেও তা ‘লোক দেখানো’। বনভূমি দখলের সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় গুটিকয়েক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং জনপ্রতিধিরাও। আবার অবৈধ জবর দখলের সাথে জড়িতরা নির্বিঘেœ যাতায়াতের জন্য পাহাড় কেটে কাচা সড়কও তৈরী করেছে। এভাবে বনরেঞ্জের জায়গায় সামাজিক বনায়ন সৃজন করলেও বর্তমানে বনায়নের কোন অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। অভিযোগ উঠেছে নামমাত্র বনায়ন করে লাখ লাখ টাকা লোপাটেরও। অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা সামাজিক বনায়ন সৃজনের নামে অনিয়ম-দুর্ণীতির মাধ্যমে সরকারী বরাদ্দ হাতিয়ে নেওয়ায় সামাজিক বনায়নের সুফলের মুখ দেখছে না উপকারভোগীরা। রেঞ্জার মেহেরাজ উদ্দিন বলেন, এই বিটে বর্তমানে জনবল-সংকট আছে। জনবল সংকটের কারণে উচ্ছেদ অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল জানান, পাহাড়ের ভেতর গড়ে উঠছে শত শত পাকা স্থাপনা। গভীর অরণ্য কেটে ফেলার ফলে বন্যহাতি লোকালয়ে এসে মানুষ মারছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন বিভাগকে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্ষ দেন সচেতন মহল।