‘সবার আগে শিশু, এই নীতিতে অটল থেকে ভাববো সকল কিছু এ শ্লোগান সামনে রেখে বুধবার জামালপরে শিশুদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন ও অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অবস এন্ড ক্রাইম) মোঃ সোহেল মাহমুদ। পুলিশ সুপারের সভা কক্ষ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ সোহরাব হোসেন, জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ, নারী ও শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা জ্যোৎস্না বেগম, ওয়ার্ল্ড ভিশনের অ্যাডভোকেসি বিশেষজ্ঞ তানজিমুল ইসলাম, জামালপুর এপির এরিয়ার ম্যানেজার সাগর ডি কস্তা, শিশু ফোরামের সহসভাপতি অর্পা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘ, জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন। সভায় ৩০ জন পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্য, প্রবেশন কর্মকর্তাসহ ৪০ জন অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ বলেন শিশুদের সর্বোত্তম সুরক্ষায় স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। সময়ের প্রয়োজন ও চাহিদা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে শিশু আইনটি সংশোধন করে সময়োপযোগী করেন। সরকার ঘোষিত স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে আজকের শিশুদের শুধু নিরাপত্তাই নয় শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, কারিগরী এবং তথ্য-প্রযুক্তিসহ দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ ধরণের সচেতনমূলক অনুষ্ঠান প্রত্যেক থানা ও কমিউনিটিতে আয়োজন করার জন্য তিনি ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ হংকং এর আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের যৌথ উদ্যোগে জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষিরচর, শরিফপুর ও জামালপুর পৌরসভায় ১০ বছর মেয়াদী জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন স্মার্ট ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা, বেপোরোয়ার মটর সাইকেল চালানো বন্ধ করা, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও মসজিদ নির্মান কাজে শিশুদের দিয়ে রাস্তায় চাঁদা তোলা বন্ধ করা, অটোরিক্সা চালনাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে শিশুদের বিরত রাখা, ধর্মীয় অনুশাসন এবং শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় শিশুদের নিবিড়ভাবে যুক্ত করতে পারলেই শিশুরা নিরাপদে থাকবে।