এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রকৃতিতে বিরাজ করছে দাবদাহ। এতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। দাবদাহ এতো তীব্র আকার ধারণ করেছে যে, তার প্রভাব পড়ছে সড়ক-মহাসড়কেও। দাবদাহে উত্তপ্ত হয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশের কমপক্ষে ১৫-২০টি স্থানে পিচ গলে গেছে। এতে যানবাহন চালাতে সমস্যায় পড়ছেন চালকরা।শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জের নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। সড়কটি দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমা লের যানবাহন মেঘনা নদী পাড় হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করে। বর্তমানে দুই লেনের সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। সড়কটি সচল রাখতে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গতবছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভেদরগঞ্জের বালিবাড়ির মোড় থেকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার অংশ বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং করে সংস্কার করা হয়। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে শরীয়তপুরের তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত হওয়ায় সড়কটি উত্তপ্ত হয়ে বিভিন্ন স্থানের পিচ গলে যাচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির বালিবাড়ির মোড় ও খায়েরপট্টি মধ্যবর্তী বেশ কয়েকটি স্থানের পিচ গলে আছে। গলে যাওয়া পিচগুলো সড়কে চলা যানবাহনের চাকার সঙ্গে লেগে যাচ্ছে। তাই বেশিরভাগ যানবাহন খুব সতর্কতার সঙ্গে জায়গাগুলো অতিক্রম করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রায়ই সড়কটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে সখিপুর যাই। গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, কিছু কিছু জায়গার পিচ গলে যাচ্ছে। জায়গাগুলো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’
ট্রাকচালক খালেক প্রামাণিক বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে এ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রামে গেছি। আজ ফেরার পথে দেখলাম ফেরিঘাটের পর বেশকিছু জায়গায় পিচ গলে গিয়ে চাকায় আটকে যাচ্ছে। তাই খুব ধীরে ট্রাক চালাতে হয়েছে। এতে আমাদের সময় বেশি লাগছে।’ এ বিষয়ে শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কের বিটুমিন গলে যাচ্ছে। দাবদাহ কমে এলে সড়কে বিটুমিন গলে যাওয়া স্থানগুলো শনাক্ত করে আরেক লেয়ার বিটুমিন দেওয়া হবে।