অস্ত্র আইনে রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে খালাস দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর দিনগত রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ ও প্রায় ৯ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করে র্যাব।
২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক অস্ত্র ও মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়। তখন গোল্ডেন মনির নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৬ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
র্যাব জানায়, নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর গাউছিয়ায় একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন মনির। সে চাকরি ছেড়ে তিনি ক্রোকারিজের ব্যবসা শুরু করেন। এরপর লাগেজ ব্যবসা অর্থাৎ ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে মালামাল আনতেন মনির। একপর্যায়ে তিনি স্বর্ণ চোরাকারবারিতে জড়িয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধপথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। সে কারণেই তার নাম হয়ে যায় ‘গোল্ডেন মনির’। স্বর্ণ চোরাকারবারে জড়ানোর কারণে ২০০৭ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।