পিরোজপুর জেলার নাজিপুর উপজেলার শেষ সীমানা তথা বরিশাল বিভাগের পশ্চিম এবং বাগেরহাট জেলার পূর্ব সিমান্ত এলাকার মরা বলেশ^রের ভরাট চরের নাজিরপুর উপজেলার বানিয়ারীর অংশের শত একর ইরি ফসলী জমি নিয়ে শত বছরের দন্দ নিরসনের প্রচেষ্টায় নাজিরপুর এবং বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় ২৯ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে শত একর জমির পাঁকা ইরি ধান কর্তনের কাজ শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতিমা আজরিন তন্ন¦ী ও উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মাসুম বিল্লাহ এবং অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম হাওলাদার। অপর দিকে বাগেরহাট সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ, চিতলমালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চিতলমারীর অফিসার ইনচার্জ একরাম, সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি আক্তার, চিতলমারী উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মৃধা সহ অসংখ্য দুই উপজেলার পুলিশ বাহীনির পাহাড়ায়, দুই পক্ষের লোকজনদের উপস্থিতিতে ইরি ধান কেটে উত্তোলন করছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ফসল কারো শত্রু নয়, দুই উপজেলার দাবিদারদের দাবির মুখে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনায় দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে এবং মামলার সিন্ধান্তের পরে ফসল যথাযথ ভাবে ভাগ করে উপযুক্ত পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায় যে, চিতলমারীর সদর ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৭০ একর সম্পত্তির ইরি ধান বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হবে এবং নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে ১০.৫০ একর সম্পত্তির ইরিধান পিরোজপুর বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হবে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায় যে, কিছু জমির ধান উভয় পক্ষের লোকজন রাতের আঁধারে কর্তন করে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা আরো জানান, বানিয়ারীর এই চর দীর্ঘ শত শত বছর ধরে নাজিরপুর উপজেলার সীমানার মধ্যে নদী গর্ভে ছিল, তবে নদীর অপর পাড়ের সাবেক খুলনা জেলার বাসিন্দা বাসুরাম ঠেডা ও শ্রীনাথ ঠেডার বাড়ী নদীতে ভেঙ্গে নাজিরপুরের পাড়ে চরের সাথে সংযোগ হলে তৎকালীন খুলনা কালেক্টরী বরিশাল কালেক্টরীরর নিকট ঐ ঠেডা পবিরাবদের আশ্রয়ের জন্য জমি সহ হস্তান্তর করেন, এরপর থেকে ঐ ঠেডা পরিবারের পরস্পর উত্তরসুরীরা জমি ভেগ দখল সহ বসবাস করে আসতেছে এবং নাজিরপুরের একাধিক মুসলিম পরিবারদের নিকট বিক্রি করলে তাহারা ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হিসেবে জমি ভোগ দখল করে বলে জানা যায়। স্থানীয়রা আরো জানান, মরা বলেশ^র নদীর ভিতরে কিছুদিন পূর্বে স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে পিলার চি?িহ্নত করা হয়। কিন্তু চিতলমারী এলাকার লোকজন ঐ পিলারকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা দায়ের করেন বলে জানান।