পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ১নং মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া তারাবুনিয়া বাজার সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মানাধীন পাঁকা দোকান ঘর কমান্ডো ষ্ট্যাইলে ভেঙ্গে দিল স্থানীয় সন্ত্রাসীর একটি মহল। জানা গেছে ২৮ এপ্রিল কাক ডাকা ভোরে প্রায়ত এন্তাজ উদ্দিন শেখ এর পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ওরফে রব এর পৈত্রিক রের্ডীয় সম্পত্তিতে নির্মানাধীন পাঁকা দোকান ঘর প্রতিপক্ষ মিরাজ, আকরাম, ফয়সাল, রুহুল বাহীনি পার্শ্ববর্তী চিতলমারী এলাকার ভাড়াটিয়া স্বসস্ত্র কতিপয় সন্ত্রাসীদের এনে ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেগ আপ্লুত হয়ে সংবাদকর্মীদের জানান, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের জন্য যারা নিজের জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্তকে ফিরিয়ে এনে লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে আমিও একজন গর্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি পিরোজপুরের প্রায়ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়া উদ্দিন এর কোম্পানীতে থেকেই যুদ্ধ করেছিলাম। আজকে ভাবতে আমার কষ্ট হচ্ছে যে, কাদের জন্য এই জীবন বাজি রাখলাম, এটাইকি চাইছিলাম আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আজ আমার কাছে ৩লক্ষ টাকা দাবি করে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা, আমি দিতে অস্বীকার করিলে তারা আমার সরাকরি ভাতার টাকায় নির্মানাধীন দোকান ঘর দিবালোকে প্রকাশ্যে ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আর আমি সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নির্বিক শ্রোতা হয়ে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। এ সময় আমার ভাইয়ের দুই ছেলে ও একজন নারী সহ আমার হিতাকাংঙ্খী কয়েকজনে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায় এবং হুমকি দিয়ে যায়, তাদের ৩ লক্ষ টাকা না দিয়ে যেন পুনরায় এই দোকান নির্মানের কাজ শুরু না হয়। ওরা আমার প্রতিবেশী, আমার এই সম্পত্তি অন্যায় ভাবে জোড় পূর্বক ভোগ দখল করার জন্য আদালতে একটি ১৪৪/১৪৫ ধারার মামলা দায়ের করেন, ঐ মামলাটি বিজ্ঞ কোর্ট খারিজ করে দিলে ওরা ক্ষীপ্ত হইয়া আমার প্রতি এ আচরণ করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নাজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানান। তিনি আরো জানান তিনি এখন তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীতনায় ভুগছেন। স্থানীয় একাধিক উপস্থিত দর্শক ও বাজারের ব্যবসায়ীরা এ প্রতিনিধিকে জানান ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা একজন শান্ত ও নিরিহ শান্তিপ্রিয় মানুষ। তার স্ত্রী একজন ইউপি সংরক্ষিত আসনের সনদস্য। এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম হাওলাদার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ আমার কাছে এসেছে, তদন্ত করে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ দেখা যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা করা হবে। তবে আইন নিজে হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার সাধারণ জনগণের কারো নাই।