যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত ২৮ এপ্রিল রাতে দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। দুই দিন পর ৩০ এপ্রিল কোনো ধরনের অনুশীলন ছাড়াই প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪৯ রান করেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন সাকিব। অনুশীলন ছাড়া মাঠে নেমে দল জেতাতে না পারলেও ব্যাট-বলে কারিশমা দেখানোর সামর্থ্যটা কমেনি একচুলও, সেটা ৪৮ ঘন্টা আগে বিকেএসপিতে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সাকিব। ঠিক পরের ম্যাচে আজ শুক্রবার বিকেএসপির সেই ৪ নম্বর মাঠেই গাজী গ্রুপের বিপক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সাকিব জানিয়ে দিলেন, এখনো আগের মতোই আছেন তিনি। প্র্যাকটিস না করেও রান করতে পারেন। সেঞ্চুরি হাঁকাতেও পারেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে খেলবে না সাকিব। তার পরিবর্তে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের আসর প্রিমিয়ার লিগ খেলে নিজেকে সিরিজের শেষ ২ ম্যাচের জন্য তৈরি করা ইচ্ছে এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। আর সেই লক্ষ্য পূরণে যেন পুরোপুরিই সফল হলেন সাকিব। সাকিব যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একেবারেই প্রস্তুত হয়েই নামছেন, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে তা আর বোঝার বাকি থাকবে না কারোরই। কারণ দারুণ এক শতক উপহার দিয়ে নিজের প্রস্তুতিটা ভালমতোই সারলেন চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেক দিন সেঞ্চুরি ছিল না সাকিবের ব্যাটে। ইতিহাস জানাচ্ছে, সেই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টন্টনে শেষবার শতক হাঁকিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আজ ৫ বছর পর আবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাকিব।
এদিন ৭৯ বলে ৭ ছক্কা ও ৯ বাউন্ডারিতে ১০৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২৮০ রানের লড়িয়ে পুঁজি গড়ে দিলেন সাকিব। সাকিবের সেঞ্চুরির সঙ্গে ইয়াসির আলী রাব্বির ৫১ বলে ৭১ আর ফজলে রাব্বির ধীর গতির ৪৭ (৮৬ বলে) যোগ হলে শেখ জামাল পায় লড়াই করার মতোই একটি পুঁজি ।