আগামী ২১ মে সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসেন। চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় এমপি মোরশেদ আলমের পুত্র সাইফুল আলম দিপু, সাবেক ছাত্র নেতা হাসান মঞ্জুর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহাম্মদ চেধুরী, সাবেক পের মেয়র আবু জাফর টিপু, আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য এডভোকেট এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ভোট যুদ্ধে নামলেও বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীকে মাঠে দেখা যায়, তারা হলেন-সাইফুল আলম দিপু (আনারস), সাবেক ছাত্র নেতা হাসান মঞ্জুর (কাপ পিরিচ), আবু জাফর টিপু (দোয়াত কলম)। বাকী তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মাঠে প্রচার প্রচারনা করতে দেখা যাচ্ছে না। তবে গত সপ্তাহে গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে ভোট থেকে দাঁড়ালেন জাকির হোসেন জুয়েল ও লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক । এখন ভোটের প্রচার প্রচারনায় মাঠে রয়েছেন হাসান মঞ্জুর, সাইফুল আলম দিপু এবং আবু জাফর টিপু। এই তিনজনের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। সাইফুল আলম দিপু নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোরশেদ আলম এমপি পুত্র, এই পরিচয় কাজে লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এদিকে হাসান মঞ্জুর দীর্ঘ দিন যাবৎ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মসজিদ মাদ্রাসা, ওয়াজ মাহফিল, খেলাধুলায় দান অনুদান করে আসছিলেন, সে সুবাদে জনপ্রিয়তা রয়েছে সবার শীর্ষে তিনি। এছাড়া সেনবাগের সন্তান হিসেবে সাধারণ মানুষ হাসান মঞ্জুরকে প্রাধান্য দিচ্ছ। সাবেক পের মেয়র আবু জাফর টিপু দীর্ঘ দিন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন বিদায় এলাকায় তার দলীয় নেতা সহ এক শক্ত অবস্থান রয়েছে। এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন হলেন গোলাম কবির (মাইক),কামাল উদ্দিন চেধুরী (তালা), দিদারুল আলম (চশমা), শাহরিয়ার আলমগীর আলো (টিয়া পাখি)। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ত্রিমুখী লড়াই হবে। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কবির শারীরিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তবে তার কর্মীরা প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫জন হলেন-মরিয়ম সুলতানা (কলস), রেজিয়া আক্তার বকুল (প্রজাপতি), আমেনা খাতুন (পদ্মফুল), জাহানারা বেগম ফুটবল মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অর্থাৎ তৃনমূলে গিয়ে ভোটারদের সাথে আলোচনা করলে তারা জানায় – প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর লোকজন লোকাল এলাকায় আসেন না, শুধু বাজারে বাজারে দোকানদারদের সাথে দেখা করে কিছু লিপলেট বিতরণ করে প্রচার প্রচারনা করে চলে যায়, গ্রামে গঞ্জে ভোটের কোন প্রচার নাই,কোন আমেজও নাই, অনেক উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে তেমন কিছু জানেনও না।