নতুন করে ঢেউ ছড়াচ্ছে কোভিড-১৯। যার ধাক্কায় সিঙ্গাপুরে গত ৫ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৯০০ জন। যা গত সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিঙ্গাপুরে যে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তাতে দুই-তৃতীয়াংশই আক্রান্ত হয়েছেন নতুন ভ্যারিয়েন্ট কেপি.১ এবং কেপি.২-তে।
বিশেষজ্ঞরা কেপি.২ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এই ভ্যারিয়েন্টটি আগের তুলনায় অধিক সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং আবারও মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। কুং বলেছেন, ‘আমরা সংক্রমণের গোড়ার দিকে রয়েছি, যখন তা হু হু করে বেড়ে চলেছে। এই ভাবে চললে আর ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই এটা শীর্ষে পৌঁছবে।’
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রক টুইট করে জানিয়েছে, এর আগের সপ্তাহে সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৩ হাজার ৭০০ জন। সেটাই বেড়ে ২৫ হাজার ৯০০ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চারটি বিষয় খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে সকলকে।
১) বার বার হাত ধোয়ার মতো সতর্কতা অবলম্বন করা। ২) ভিড় এলাকায় গেলে, বিশেষত যদি সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ থাকে, তাহলে মাস্ক পরা। ৩) অসুস্থতা থাকলে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রাখা। ৪) কোভিড টিকা নেয়া।
এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ গুণ বেড়ে গেছে। সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে হাসাপাতালে ভর্তির সংখ্যা ১৮১ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫০ জন। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৫০০ জন একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসার পরিকাঠামো রয়েছে সিঙ্গাপুরে। কিন্তু তার থেকে যদি এটা বেড়ে হাজার হয়ে যায়, তাহলে একসঙ্গে হাজার জনকে চিকিৎসা করার পরিকাঠামো সরকারের হাতে নেই। আপাতত কোনও বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ওং। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ, করোনার লক্ষণগুলি মৃদু থাকলেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরামর্শ নিতে হবে। কোমর্বিডিটি থাকলে সেই সমস্ত রোগীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত ১২ মাসের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকলে বয়স্ক ব্যক্তি ও অন্যান্যদের পুনরায় কোভিডের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সূত্র : livemint