মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, অবৈধ নিয়োগের কারণে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাতিমাথ রিফাথ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, মালদ্বীপের কিছু কোম্পানি জাল কাগজপত্র দাখিল করে শ্রমিক নিয়োগ করে। এজন্য এক মাস আগে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দ্বীপদেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান। সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘কুরাঙ্গি’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৭০০ জনেরও বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইব্রাহিম সলিহ প্রশাসনের সময় (২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস) দেশটি বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর প্রশাসন গত বছরের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ডিসেম্বরে এক প্রেস কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান বলেছিলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ১ লাখ ৩৯ হাজার ২২০টি ওয়ার্ক পারমিট আগে থেকেই রয়েছে। তাদের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ফি নিয়মিতভাবে দিয়ে বৈধ আছেন মাত্র ৩৯ হাজার ৪ জন।
একটি স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্টে দেখা যায়, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত মালদ্বীপে বাংলাদেশ থেকে ৯০ হাজার ৬৪২ জন শ্রমিক রয়েছেন। মালদ্বীপের কর্মসংস্থান আইন অনুযায়ী, একটি দেশ থেকে নির্ধারিত কোটা ১ লাখেরও কম।