ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হওয়ার পর আলোচনায় এসেছে এমপিদের চোরাকারবারে জড়িত থাকার বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজনীতি বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ একটি সহযোগী দৈনিকের সাথে সাক্ষাৎকারে বলেন, ব্যবসায়ী বা চোরাকারবারি আইন প্রণেতা হলে আইন প্রণয়ন করবেন কারা, কীভাবে?
চোরাকারবারি ও ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রাজনীতি ফেরাতে হলে কাঠামো সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বলেন, ‘এমপির চোরাকারবারের বিষয়টি নতুন নয়। কিন্তু আমার মনে হয় না আমরা এভাবে সমালোচনা করে এটাকে ঠিক করতে পারব। কারণ কাঠামোটাই এমন। কাঠামো অনুযায়ী নির্বাচন করতে হলে প্রচুর অর্থ লাগে। কাঠামো অনুযায়ী দলকে চিন্তা করতে হয় এ প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হবেন কি না। ফলে সহজেই অনুমেয় কাঠামোগত ঝামেলা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, রাজনীতি করতে আসা লোক হতে হবে লাখপতি। সংসদ সদস্য (এমপি) হতে হলে তাকে কোটিপতি হতে হবে। প্রার্থী হতে হলে লাখপতি ও কোটিপতি হতে হবে যখন এরকম বিষয় অনেকটা নিয়মের মতো হয়ে যায় তখন সমস্যাটা তৈরি হয়। কারণ প্রার্থীদের সবাই তো আর নিশ্চয়ই সৎপথে লাখপতি, কোটিপতি হননি। আমাদের তো বেশিরভাগ এমপি ব্যবসায়ী, লাখপতি ও কোটিপতি। আমি বোঝাতে চাই এ কাঠামো যতদিন থাকবে এর খুব একটা ব্যতিক্রম হবে বলে আমি মনে করি না।’
অধ্যাপক ইমতিয়াজ প্রতিবেশী দেশ ভারতের লোকসভার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সেখানে তাদেরই গবেষণায় বলে যে, ৪০ শতাংশ এমপি বা লোকসভার সদস্যের ক্রিমিনাল রেকর্ড (অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ) আছে এবং তার মধ্যে ২০ শতাংশ হলো সিরিয়াস ক্রিমিনাল রেকর্ড। আমেরিকার কথা যদি বলি, তাদের ৪০ শতাংশই মিলিওনিয়ার এবং ছয়-সাতজন বিলিওনিয়ার। এখন মিলিওনিয়ার যে হয় সে তো সৎপথে হয়েছে এটা বলা বোকামি হবে। তো এটাকে কেন গণতন্ত্র বলা হয়?’