দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে শখের বশে মরুভূমির প্রাণি দুম্বার খামার গড়ে তুলেছেন আব্দুল হান্নান। পেশায় তিনি একজন ধান-চাল ব্যবসায়ী। ভারতের রাজস্থান থেকে দুম্বাগুলো সংগ্রহ করেন তিনি।
বোচাগঞ্জ উপজেলার রামদাসপাড়ায় দুম্বা খামারে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক বছর আগে প্রথমে ভারতের রাজস্থান থেকে খামার মালিক ৬টি দুম্বা সংগ্রহ করেন। সেই দুম্বা থেকে বর্তমানে ৩৫টি দুম্বা হয়েছে। পরম যতেœ প্রাণিগুলোকে লালন-পালন করছেন আব্দুল হান্নান। খামারটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। কেউ চাইলে কোরবানির জন্যেও সংগ্রহ করতে পারবে। খামার শ্রমিকরা বলেন, আমরা প্রতিদিন দুম্বাগুলোকে নেপিয়ার ঘাস, ভুসি, ডাল, ছোলা খাবারে দিয়ে থাকি। দুম্বাগুলো স্বভাবে খুবই শান্ত প্রকৃতির। এজন্য দেখাশোনা করতে আমাদের তেমন সমস্যা হয় না।
দুম্বা খামারি আব্দুল হান্নান বলেন, শখের বশেই আমার এই সৌখিন দুম্বার খামার গড়ে তোলা। তবে প্রতি বছর কোরবানির সময় দুম্বাগুলো প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। কেউ নিতে চাইলে নিতে পারেন, গত কোরবানিতেও বিক্রয় করা হয়েছিলো। আশা করছি প্রতিটি দুম্বার ১ লাখ টাকা দাম পাবো। এবিষয়ে দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ (ডিএলও) কর্মকর্তা ডা. আশিকা আকবর ত্রিশা বলেন, এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৬টি। প্রস্তুত রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০টি। চাহিদা পূরণ করেও অবশিষ্ট থাকবে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৩টি কোরবানির পশু। জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের চাহিদাতেও অংশগ্রহণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর এই জেলায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পশুর খামার। বর্তমান বোচাগঞ্জ উপজেলায় একটি মরু অঞ্চলের প্রাণি দুম্বার খামার গড়ে উঠেছে। এটা একটা ভাল উদ্যোগ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ এলাকার সকল খামারিদের সুপরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছেন।