বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই, টেলিফোন প্রতীকের উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন তার ছেলে আসাদ হোসেন নিশাদকে(২৫) হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন। রবিবার বিকেলে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে আসাদ হোসেন নিশাদ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সে কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছে। সে কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। শনিবার রাত ৯টায় আমার ছেলে বসুরহাট হাইস্কুল মাঠে তার বন্ধুরাসহ আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনীর ৮০-৯০জন সন্ত্রাসী আমার ছেলেকে মারধর করে। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। উপস্থিত লোকজনের কারণে তা পারেনি।
মেয়র তাকে মেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেকে আঘাত করার পরপরই ২ মিনিটের মধ্যে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা কিভাবে সেখানে উপস্থিত হয়? মেয়রের ছেলে নিজেও পিতার এ যড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। তাশিক মির্জা একটি কালো রঙ্গের গাড়ী নিয়ে চলাফেরা করে। এটাকে সে টর্চারসেল বানিয়েছে। যারা আমার টেলিফোন মার্কার ভোট করছে তাদেরকে কালো রঙের গাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। মেয়র কাদের মির্জারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সে অস্ত্রবাজ, সে হেলমেট বাহিনী গঠন করেছে, সে হাতুড়ি বাহিনী গঠন করেছে, সে মাস্তান পালে। আমি আমার ছেলেকে হত্যার চেষ্টায় নোয়াখালী ডিসির কাছে ফোন করেছি তিনি ফোন ধরেন না। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির কাছে ফোন করেছি। ওসি বলেন মামলা নিতে পারব না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত বলেন, সেতুমন্ত্রী আমার ফোন ধরেন না। কাদের মির্জা মন্ত্রীকে গত ৩বছর আগে অনেক অপমাণ করেছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সারা বাংলাদেশের মান সম্মান নষ্ট করেছে। আমরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারি না। সে মন্ত্রীকে কন্ট্রোলে রেখেছে। মন্ত্রীকে হুমকি দেয় আমার কথা না শুনলে আমি লাইভে এসে আপনার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবো। তিনি বলেন, আমরা ৫ ভাই। আমাদের ছোট ভাইকে কাদের মির্জা মেরে ফেলেছে। ইচ্ছা করে মেরে ফেলেছে। সে আবার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলে, মন্ত্রী নাকি আমার ছোট ভাইকে মেরে ফেলেছে। কোম্পানীগঞ্জে চোর, বাটপার, গাঞ্জাডি ও রোহিঙ্গাকে কাদের মির্জা নেতা বানিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামীলীগকে সে শেষ করে দিয়েছে। প্রতিটা সেক্টরে আবদুল কাদের মির্জা চাঁদাবাজি করছে। তিনি বলেন, এই যে, রাস্তার কাজ চলতেছে সেখান থেকে সে ৫কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে। এলাকার রাস্তার কাজগুলো খুবই নি¤œমানের। শাহাদাত আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জে কিসের দলীয় প্রার্থী? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারা দেশে আমার কোন দলীয় প্রার্থী নাই। আমি উৎসবমূখর পরিবেশে জনগণের অংশগ্রহণে ভোট চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার আকুল আবেদন আপনি কোম্পানীগঞ্জকে বাঁচান। কোম্পানীগঞ্জের ভোটারদের আশা আকাংখা পূরণ করুন। যারা কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের থেকে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ মুক্তি চায়।