ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উত্তরের জেলা নাটোরের। বিশেষ করে ভেঙে পড়েছে ভুট্টা ও কলা গাছ। এছাড়া মৌসুমি ফল আমসহ বিভিন্ন সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতির শিকার হয়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, একদিনের ঝড়ে কৃষিতে অন্তত ৫১ কোটি টাকার ফসল ক্ষতির শিকার হয়েছে। নাটোর শহরতলীর মোহনপুর এলাকার কৃষক ওসমান গনি জানান, তার এক বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছিলেন। কিন্তু ঝড়ে পুরো জমির ভুট্টা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। আরেক ভুট্টা চাষী ইয়াছিন আলী জানান, কিছুদিন আগে জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছিলেন। সেই ভুট্টার গাছ এখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। তার জমির পুরো ভুট্টা নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে নাটোরের আম বাগানিরা। বাগানের প্রতিটি গাছ থেকে ফজলি, খিরসাপাত, আম্রপালি, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ঝরে পড়েছে। আর ঝরে পড়া আমে ছয়লাব হয়েছে নাটোরের বাজার। শহরের নিচাবাজার, স্টেশন বাজার ও মাদ্রাসা বাজারে ঝরে পড়া আম বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। পরিপক্ক ও অপরিপক্ক আম ঝরে পড়ার কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাটোর মোহনপুর এলাকার আম বাগান মালিক পলাশ খান বলেন, ঝড়ে তার বাগানের ৬০মন কাঁচা আম পড়ে গেছে। এতে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাধ্য হয়ে ২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা আম বিক্রি করেছেন।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে জেলার মাঠগুলোতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৭১ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, কলা, বিভিন্ন সবজি রয়েছে। এর মধ্যে ঝড়ে ৩ হাজার ৮২৪ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। যার অনুমানিক ক্ষতি অন্তত ৫১ কোটি টাকা। তবে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত উপ-পরিচালক লুৎফুন নাহার।