নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শাণিÍরক্ষী দিবস পালন করা হয়েছে। দিসবটি পালন উপলক্ষে সকালে বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন উপমহা পুলিশ পরিদর্শক জামিল হাসান। র্যালি শেষে শিল্পকলা একাডেমি সভাকক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনী কাজ করছে। তাঁরা বাঙালি জাতির গৌরব সমুজ্জ্বল রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা বিশ্ব শান্তি পুনরুদ্ধারে কাজ করছেন। বিশ্বের ৪০টি দেশে ৬৩টি মিশনে বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনীরা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেছেন। এখনও ১৩টি দেশে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাঁরা বিভিন্ন মিশনে অংশগ্রহণ করে দেশের মর্যাদা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আলোচনা সভায় পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির এর সভাপতিত্বে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের লেফট্যানান্ট কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক গৌতম বাড়ৈ, ইউনিসেফ বরিশালের প্রধান মোঃ আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক, শিক্ষাবিদ প্রফেসর শাহ সাজেদা ও সেইন্ট বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর কবির এবং আভাস এর নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল বক্তৃতা করেন। উল্লেখ্য ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হয়। আর ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া শুরু। এরপর ৩৫ বছরে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের এক গর্বিত অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক শান্তিরক্ষী পাঠানো ১২৫টি দেশের মধ্যে ছিল শীর্ষ অবস্থানে। এর আগেও কখনো প্রধম, কখনো দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।