১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন বিষয় নিয়ে একটি পোস্টের ফলে আদিয়ালা জেলে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সাইবার ক্রাইম টিমের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। বৃহস্পতিবার রাতে ওই টিম জেলখানায় গিয়ে হাজির হয়। তাদেরকে তিনি জানিয়ে দেন, কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমরান খান বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছিলেন। সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ওই টিম। জবাবে ইমরান খান জানিয়ে দেন- আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কোনো প্রশ্নেরই উত্তর আমি দেবো না। সূত্রগুলো বলেছেন, পিটিআই প্রধানের বক্তব্য লিখিত আকারে গ্রহণ করেন এফআইএর তদন্ত টিম। সম্প্রতি এক্সে ইমরান খান একটি পোস্ট দেন। তাতে তিনি বলেন, হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট প্রতিজন পাকিস্তানির পড়া উচিত এবং জানা উচিত জেনারেল ইয়াহিয়া খান নাকি অন্য কেউ সত্যিকার বিশ্বাসঘাতক ছিলেন। এ ঘটনায় ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই সাইবার ক্রাইম টিম জেলে গিয়ে উপস্থিত হয়।
পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর বলেছেন, এই পোস্ট নিয়ে ইমরান খানের কিছু করার নেই। তার একাউন্টে পোস্ট করা এই টেক্সট তিনি দেখেনিও নি। তিনি এই পোস্টের পক্ষ নিয়ে বলেন, এটাকে কনটেক্সটের বাইরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের প্রেক্ষিতে এটাকে তুলনা করা হয়েছে। এটা রাজনৈতিক। এর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে জড়িত করা হয়নি। অন্যদিকে সাবেক ক্ষমতাসীন দল পিটিআই ইমরানের পোস্টের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেছে, ১৯৭১ সালের ঘটনাকে শুধু স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে ইতিহাস থেকে মানুষ শিখতে পারে।
কিন্তু পিটিআই সুপ্রিমো ইমরান খানের এই পোস্ট নিয়ে সর্বমহল থেকে সমালোচনা উঠেছে। এর মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও। তিনি বলেছেন, শেষ পর্যন্ত জাতির সামনে চলে এসেছে ইমরান খানের প্রকৃত চেহারা।