শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানকে গ্রেফতার:বিএফইউজে ও ডিইউজে’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ আহতরা যেই দলেরই হোক চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী ঢালাওভাবে মামলা-গ্রেপ্তার বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি সুজনের নিরীহ মানুষ হত্যাকারী রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা  দিতে ব্যর্থ সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন  অধিকার নেই: মির্জা ফখরুল ছাত্র-জনতার খুনের দায়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে: বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জনরোষ থেকে বাঁচাতে সরকার জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও বিরোধীদলের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে: মাওলানা এটিএম মা’ছুম কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্র নিন্দা:ম্যাথিউ মিলার পবিত্র আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহবান ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগল মেহেরপুরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের অন্যতম উৎস দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে সাপ নিয়ে গবেষণায় সফল শিক্ষার্থী কামরুন নাহার কনা

ভিটামিন এ-এর অভাব: শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধে যা করবেন

ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
  • আপডেট সময় রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

জেরোপথ্যালমিয়া নামের এক ধরনের রোগ, যা ভিটামিন এ-এর অভাবে হয়ে থাকে। এই রোগের মোট ৮ থেকে ৯টি পর্যায় আছে। এর মধ্যে শেষ পর্যায় চোখের কর্নিয়া একদম নষ্ট হয়ে যায়। রোগী সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিশক্তি হারান। তবে এই রোগের প্রথম পর্যায়টি হচ্ছে রাতকানা রোগ। ভিটামিন এ-এর অভাবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুরা রাতকানা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে ৬ বছর বয়সের শিশুরা রাতকানা রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
রোগের কারণ: ১. শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব। ২. বাচ্চা অল্প ওজনের জন্ম হলে অর্থাৎ অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত বেশি হয়। ৩. নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ হলে। ৪. বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের অতিরিক্ত খাদ্যের চাহিদা পূরণ না হলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
রাতকানার লক্ষণ: ১.প্রাথমিক পর্যায়ে ভোরের ও সন্ধ্যার অল্প আলোতে দেখতে অসুবিধা হয়। ২. পরে চোখ শুষ্ক অনুভূত হয়। ৩. চোখে ছোট ছোট ছাই রঙের দাগ দেখা দেয়। ৪. চোখের কর্নিয়ায় ঘা হয়ে কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যায়। ৫. অনেক সময় কর্নিয়ায় ফোঁড়ার মতো দেখা দেয়।
প্রতিরোধে করণীয়: ১. মায়ের দুধে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। তাই জন্মের পর শিশুকে মায়ের শালদুধ খাওয়াতে হবে। ২. সন্তানকে জন্মের প্রথম পাঁচ সপ্তাহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সম্ভব হলে ২ বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ৩. ৯ মাস বয়সে শিশুকে হামের টিকার সঙ্গে একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। ৪. ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে বছরে দুবার ৬ মাস অন্তর অন্তর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বা জাতীয় টিকা দিবসের সময় একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। ৫. শিশুকে কোনোভাবে অপুষ্টিতে ভুগতে দেওয়া যাবে না। ৬. ছোটবেলা থেকে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। ৭. বাচ্চা হাম, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক: ডা. মো. আরমান হোসেন রনি,কনসালটেন্ট, চক্ষু, দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, সোবাহানবাগ, ঢাকা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com