বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্কুলছাত্রীকে শিকলে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার পরিবারের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের জামাল হাওলাদারের মেয়ে দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা আক্তার(১৩)। শনিবার রাতে তার মা মারুফা বেগম ও পরিবার তাকে শিকলে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে ঘরের মধ্যে আটক রাখেন। স্থানীয় নুরুল বাহাদুর ও জামাল তাজ জানান, দুই মাস আগে স্কুলছাত্রী হাবিবা আক্তারকে তার পরিবার জোরপূর্বক একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামের শাহজাহান মোল্লার ছেলে সাজিদ মোল্লার সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতন সইতে না পেরে শনিবার সকালে স্কুলছাত্রী হাবিবা বাবার বাড়ি পালিয়ে আসে। তখন হাবিবার মা মারুফা বেগম, বাবা জামাল হাওলাদার ও দুলাভাই আলামিন আকন সহ কয়েকজন মিলে স্কুলছাত্রী হাবিবাকে শিকল ও রশি দিয়ে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে আটকে রাখেন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে থানার উপপরিদর্শক মাহফুজ হোসেন শনিবার রাতে স্কুলছাত্রী হাবিবাকে উদ্ধার করতে গেলে তার পরিবার টের পেয়ে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। হাবিবার মা মারুফা বেগম বলেন, আমরা দরিদ্র পরিবার হওয়ায় মেয়ের লেখাপড়া করাতে না পারার কারণে তাকে বিয়ে দিয়ে দিই। স্বামীর বাড়িতে ফিরে না যাওয়ার কারণে তাকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়। স্কুলছাত্রী হাবিবার বিয়েতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল সরদারসহ স্থানীয় মাতবররা উপস্থিত থাকলেও এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বিয়ের বিষয়ে এড়িয়ে যান। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসআই মাহফুজ হোসেনকে শনিবার রাতে স্কুলছাত্রী হাবিবাকে উদ্ধার করতে পাঠালে তার পরিবার টের পেয়ে মেরে পালিয়ে যায়।