টাঙ্গাইলে ধনবাড়ী উপজেলার সবচে বড় ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যাল ফুটবল একাডেমি দীর্ঘদিন এখানে গৌরবের সাথে বিভিন্ন বয়সী নারী ফুটবলারের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান নিজেরা করি সংগঠন কিছু সহযোগিতা করলেও তাদের নিজস্ব কারণে পৃষ্ঠপোষকতা থেকে চলে হেছে।পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করলেও তা তাদের জন্য অতি সামান্য এমতাবস্থায় একাডেমির চরম অর্থ সংকট, ক্রীড়া সামগ্রিক অভাব সহ নানা প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ফুটবল জগতের এক নিবেদিত প্রাণ, পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ফুটবল একাডেমির কোচ ও সার্বিক ব্যবস্থাপক, দারিদ্র্যতার সাথে নিয়মিত সংগ্রামে লিপ্ত মোঃজহিরুল ইসলাম মিলন এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একাডেমির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু সবচে হতাশা জনক বিষয় হলো, সরকারী ও বে-সরকারী কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে বর্তমানে একাডেমির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। প্রশিক্ষণের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ফুটবল সহ দরিদ্র ফুটবলারদের জন্য যাদের নেই কোন ব্যবস্থা, নেই তেমন কোন ক্রীড়া সামগ্রীর কোন ব্যবস্থা না করতে পেরে একাডেমির কোর্স জহিরুল ইসলাম মিলন, পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার মেনেজিং কমিটির সভাপতি মাসউদুল আলম উচ্ছল সহ মেনেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষক বৃন্দ দারিদ্রতার সাথে নিয়মিত সংগ্রামী লিপ্ত হয়ে এদের এদের ও ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় একাডেমীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্তমানে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। এ বিষয়ে কোচ মোঃজহিরুল ইসলাম মিলন সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমানে একাডেমিতে ৩২ জন নারী ফুটবলার নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ধনবাড়ী উপজেলা সহ অন্য উপজেলার ফুটবলারও রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ফুটবলারই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। আমাদের বেশ কিছু ফুটবলার বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ক্লাব সহ জাতীয় পর্যায়ে খেলা করছে। বিকেএসপিতেও সুযোগ পেয়েছে পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ফুটবল একাডেমির ফুটবলার সায়েলা জামান মিমি। এসব ফুটবলাররা অনেক মেধাবী। কিন্তু তারা দরিদ্রতার কারণে তাদের প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রী কিনতে পারে না। তাছাড়া কোন সহযোগিতা না পাওয়া বা নিজস্ব কোন ফান্ড না থাকার কারণে একাডেমির পক্ষ থেকেও তাদের কোন সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পূর্ণ মাত্রার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। অথচ এই ধনবাড়ী উপজেলার মেয়েরা টানা তিনবার জেলা চ্যাম্পিয়ন,একবার ইন্টার স্কুল পরপর দুইবার উপজেলা পর্যায়ে। এই উপজেলা মেয়েরা খেলেছে বিভিন্ন পর্যায়ে। ধনবাড়ী উপজেলাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতা। বাড়ি এছে আমাদের সম্মান তাহলে কিভাবে তারা সম্পূর্ণ রূপে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে তাদের মাথায় এখন এই প্রশ্ন। পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার বলেন, ধনবাড়ী উপজেলার ফুটবলকে বাঁচতে, পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ফুটবল একাডেমিকে বাঁচাতে আমি সাংবাদিক মহল সহ সরকারী বে-সরকারী উদ্ধোত্বন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সমাজের সকল স্তরের ক্রীড়া প্রেমী মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করি। পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ফুটবল একাডেমির ক্ষুদে ফুটবলার অনন্যা রানী জানায়, তাদের প্রত্যেকের সপ্ন রয়েছে পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ফুটবল একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে বিকেএসপি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় সহ দেশের বিভিন্ন ক্লাবে খেলা করার। কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রী ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হয়তো সে সপ্ন সফল হবে না। সে আরো জানায়, তাদের কোর্স (জহিরুল ইসলাম মিলন স্যার) অনেক অভাবি হয়েও তাদেরকে অনেক সময় দিয়ে যতœ সহকারে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। অনেকের ক্রীড়া সামগ্রী কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। নিজের খরচে এবং নিজের দায়িত্বে সবাইকে বিকেএসপির বাছাইপর্বে সবাইকে নিয়ে যায়। ফুটবল টিমের খেলোয়াড় কবিতা বলেন,আমাদের স্কুলের সভাপতি,মাসউদুল আলম উচ্ছল মহোদয় তার সাধ্যমত আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন, সে আমাদের প্রতি খুবই আন্তরিক। কিন্তু এভাবে আর কতো দিন চলবে। কোন সহযোগিতা না পেলে মিলন স্যার এর পক্ষে কিভাবে এতো কিছু করা সম্ভব হবে বলে দুঃখ প্রকাশ করে অনন্যা রানী। পাইস্কা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হরিপদো পাল ও সহকারী শিক্ষিকা হাবিবা পারভীন হতাশা প্রকাশ করে, এই নারী ফুটবলারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ ক্রীড়া প্রেমী সকল পর্যায়ে মানুষদের সহ বিভিন্ন ক্লাবেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।