চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির লেলাং খালের বালু মহালের ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র গত ২৫ শে মে সন্ধ্যায় মোর্শেদ উদ্দীন নামে এক স্কুল শিক্ষকের মাথা ফাঁটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠে রাজামিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে রাজা মিয়া ও মোঃ গিয়াস উদ্দীনসহ ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে গত ২৭শে মে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মোর্শেদ উদ্দীন। মামলা নং ২২। মোর্শেদ উদ্দীন জানান, মামলা দায়েরের পরও বিবাদী রাজামিয়া, গিয়াস উদ্দিন ও মঈন উদ্দীন ফের তার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। তিনি বলেন, বালু মহালের শেয়ারের টাকা দেয়ার পরও রাজামিয়ার কাছে ৬ হাজার টাকা, গিয়াসউদ্দিনের কাছে ৩৬ হাজার টাকা এবং মঈন উদ্দীনের কাছে ২ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা তিনি পাবেন। তারা ৩ জন তার কাছে কোন টাকা পাবেনা বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সময়ে মুটোফোনে তাকে হত্যার হুমকী দিয়ে গুপ্ত হামলা করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে তারা । এই জন্য তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার পুর্বক আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান। অন্যদিকে অভিযুক্ত রাজামিয়া চাঁদা দাবীর বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে বলেন, লেলাং খালে বালু মহালের শেয়ার ক্রয় বাবদ আমি তাকে ১ লক্ষ টাকা দিই। বিভিন্ন সময়ে ঐ পাওনা টাকা চাওয়ায় মোর্শেদ গত ১৭ জানুয়ারি ও ২৫ শে মে তার উপর হামলা করে। এ ব্যাপারে তিনি চট্টগ্রাম জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৩ জুন একটি সি আর মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আনীত চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমান করতে না পারলে মোর্শেদের নামে ২০ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা করবেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু ছালেহ তুহিন জানান, চাঁদাবাজি নয়, বালুর ব্যবসার লেনদেন নিয়ে এই ঘটনার সৃষ্টি। মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।