এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম সিটিজেনের সংবাদ সম্মেলন
১৫ শতাংশ নয় আবাসন খাতে মাত্র ২-৩ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার যে সুযোগ বাজেটে দেয়া হয়েছে তা মেনে নেয়া যায় না। গতকাল সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম সিটিজেন ‘প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজিএস আয়োজিত জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ ও বিরাজমান পরিস্থিতি : অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেছেন, আয়করে কোথায় ছাড় আছে সেটা বাজেটে বলা হয়েছে। বড় ভাবে ছাড় কমানো হয়েছে পরোক্ষ করে। গার্মেন্টস, জ্বালানি, মাইক্রোক্রেডিটের মতো প্রত্যক্ষ কর ছাড়ের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নাই, আগামীতে কী করা হবে এই বিষয়ে দিক নির্দেশনা নেই। আয়কর ছাড়ের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই। কিন্তু কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে ।
তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ নগদ অর্থ দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করা যাবে। কিন্তু গুলশান এলাকায় ফ্ল্যাট কিনলে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আপনি বের হয়ে যেতে পারবেন। পুরো বৈধ হবে, একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ১৫ শতাংশ নয় ২-৩ শতাংশ দিয়ে আপনি বের হয়ে যেতে পারবেন। একই সঙ্গে সম্পূর্ণ রূপে ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে। কাউকে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। এটা মানা যায় না।
তিনি বলেন, বাজেটে অর্থনৈতিক অবস্থা পুনঃরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। আমরা খুবই আশাবাদী। এর থেকে চমৎকার স্বপ্ন আর হয় না। কিন্তু এটা বাস্তবায়নে কোনো দিক নির্দেশনা নেই। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। যে কারণে আমরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়লাম। সেটা ভালোভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে বের হয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টর, সুশাসন নিয়ে আলোচনা নেই। বাজারে অনিয়ম, অর্থপাচার রোধে কী হবে, দায় দেনার ক্রাইসিস চিহ্নিত করা হয়নি। বড় আকারে আমরা ঋণের পরিস্থিতিতে পড়েছি সেটা স্বীকার করা হয়নি। গত অর্থবছরে বিদেশী ঋণশোধ করার জন্য আমাদের রাজস্ব যথেষ্ট ছিল না। আমরা প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ করে পরিশোধ করেছি। নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ।