উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। একবার রক্তচাপ বাড়তে শুরু করলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা বেশ মুশকিল। আর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী খাদ্যাভাস ও জীবনধারা। হাইপার টেনশন (উচ্চ রক্তচাপ) ও হাইপো টেনশন (নি¤œ রক্তচাপ) এর মধ্যে হাইপার টেনশনের সমস্যাই বেশি দেখা যায়। চিকিৎসকের মতে, আশি-নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ ‘এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন’। অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি কমতে থাকে। রক্তবাহগুলোও ব্যতিক্রম নয়। তাই প্রাকৃতিক নিয়মেই নির্দিষ্ট বয়সের পরে রক্তচাপ একটু বেশির দিকেই থাকে। তবে সেটা নিয়ন্ত্রণসীমা পার করলেই সমস্যা।
এ কারণে একবার রক্তচাপ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনো রক্তচাপের ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসীমার মধ্যে থাকলেও। রোগীকে রক্তচাপের ওষুধ দেওয়া হয় সেই ওষুধের কার্যক্ষমতার সময়সীমার ভিত্তিতে।
শুধু ওষুধ খেলেই হবে না, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম করে। এক্ষেত্রে যোগাসন বেশ কার্যকরী। এসবের পাশাপাশি রোজ কিছু পানীয় ডায়েটে রাখলেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী খাবেন-
বেদানার রস: বেদানায় থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমায়। এতে আরও আছে এক ধরনের প্রোটিন, যা রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্ত চলাচল সচল রাখে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।
বিটের রস: বিটের মধ্যে নাইট্রেট থাকে, যা শরীরে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়ম করে প্রতিদিন বিটের রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে আবার শরীরও থাকে চাঙ্গা।
টমেটো স্যুপ: টমেটোতে আছে উপকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লাইকোপেন। নিয়মিত টমেটোর রস খেলে সিস্টোলিক ওডিস্টোলিক উচ্চ রক্তচাপের মাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখে।
ডাবের পানি: এতে ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম আছে। ফলে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে এই পানীয় ওষুধের মতো কাজ করে। ডাবের পানিতে আছে ইলেক্ট্রোলাইটের মতো উপাদান, যা রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে ডাবের পানি। সূত্র: গুডরেক্স