সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাসন্তী পূজা মন্দিরে প্রসাদ (খিচুড়ি) খেয়ে কাব্য দত্ত নামের এক শিশু মারা গেছে। এছাড়া অসুস্থ হয়েছেন শিশু ও বয়স্ক আরো ২৫ জন। সোমবার সকালে গুরুতর অসুস্থ্য শিশু কাব্য দত্তকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ডুমুরিয়া এলাকায় গিয়ে সে মারা যায়। এদিকে, আহতদের কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কাব্য দত্ত খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শৈলগাতী গ্রামের উত্তম দত্তের ছেলে। মাকে সাথে নিয়ে সে তার নানা অশোক দত্তের বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে বেড়াতে এসে পূজায় অংশ নেয়। কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর বানিয়াজাংগাল বাসন্তী পূজা মন্দিরের সভাপতি শংকর দত্ত বলেন, শনিবার রাতে মন্দির প্রাঙ্গনে পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে পূজা-অর্চনা চলছিল। কীর্তন শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। পরদিন প্রসাদ খাওয়া ভক্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কসহ মোট ২৬ জন বমি ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হন। স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার অলোক মন্ডলের কাছে তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এরপর তাদের কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে বেশী গুরুতর অসুস্থ্য কাব্যদত্তকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (২৪ জুন) সকালে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কাব্যদত্তকে খুলনায় নেওয়ার পথে ডুমুরিয়া এলাকায় গিয়ে সে মারা যায়। অসুস্থরা হলেন, বিষ্ণুপুর গ্রামের অশোক দত্তের মেয়ে ও কাব্যদত্তের মা তিথি দত্ত(২৫), নিমাই সেন এর ছেলে দীপু সেন (৪২), চন্ডিচরণ দত্তের ছেলে সুব্রত দত্ত(৪২) ও অসীম দত্ত (৩২)সহ মোট ২৫ জন।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রোববার রাতে কাব্য দত্তকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সোমবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু খুলনায় পৌছানোর আগেই ডুমুরিয়া এলাকায় তার মৃত্যু হয়।