আড়াই বছর পূর্বের হত্যাকান্ডের তদন্তের মোড় ঘুরে যাচ্ছে। আড়াই বছর ধরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হত্যাকান্ডের প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে ভূক্তভোগী ২২টি পরিবারের সদস্যরা। মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯.৩০ ঘটিকার সময় মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে। দেলোয়ার ঢালী নেতৃত্বে ৫০জন নারী পুরুষ এই মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আলির টেক ফকিরকান্দি গ্রামে ২বছর ৬মাস পূর্বে পরিকল্পিতভাবে একটি হত্যাকান্ড ঘটে। সেই হত্যাকান্ডের শিকার হন ফকির কান্দি গ্রামের ক্যান্সারে আক্রান্ত জুয়েল ফকির(৩৫), পিতা: হাবিবুর রহমান ফকির। প্রথমে গুলি করে পরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এই জুয়েল ফকিরকে। ঐ সময় যারা হত্যাকন্ডের সাথে জড়িত তারাই ২২টি পরিবারের ২২জনের নামে হত্যামামলা হয়। এই হত্যা মামলায় ২২টি পরিবারের ছেলে মেয়েরা আড়াই বছর যাবৎ লেখাপড়াসহ সকল কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দেলোয়ার ঢালী তার বক্তব্যে বলেন, হারুন ফকির(৫৩), শাহীন মাদবর(৪৭), আব্দুল গফুর(৬০), রবু বেপারী(৪০), এন্তাজ উদ্দিন ফকিরের পুত্র জুয়েল ফকির(৩৩), কাউছার ফকির(৩০), আওলাদ মিজি(৩২), ডালিম ফকির(৩৫), জাহাঙ্গীর মুন্সী(৪৬), সিহাব(২৪) এরা মিলে জুয়েল ফকিরকে আলূ ক্ষেতে নিয়ে গুলি করে কুপিয়ে মেরে নিয়ে আসে। এরা যে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সে বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই আসামীদেরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেই জুয়েল ফকির হত্যাকান্ডের মূল আসামী খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। দেলোয়ার ঢালী আরো বলেন, মিথ্যা মামলার কারণে ২২টি পরিবার আড়াই বছর যাবৎ বাড়িতে থাকতে পারিনি। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারিনি। বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়েছি এই ২২ পরিবারের সদস্যরা। মিথ্যা মামলা দিয়ে যারা হয়রানী করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি। ৫০জন নারী পুরুষ মানব বন্ধনে এসে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন জামাল ঢালী, ফিরোজ ঢালী, ঝন্টু দেওয়ান, জামির বেপারী, সাফা বেপারী, আমিন আলী হাওলাদার, সাহাবুদ্দিন হাওলাদার, শাহীন দেওয়ান, মুন্সুর দেওয়ান, মাসুদ বেপারী, হান্নান বেপারী, মহাসিন মিজি, খুশি বেগম, রোকেয়া বেগম, হাসি বেগম, রুজিনা বেগমসহ ভূক্তভোগী পরিবারের নারী পুরুষ সকল সদস্য।