দেশীয় জাতের নারিকেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলায় ৮ হাজার নারিকেল চাষীকে ৪০ হাজার উন্নতমানের নারিকেল চারা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ চারা বিতরণের কাজ শুরু করেছে।
জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ। পিরোজপুর জেলার ৭ উপজেলার জন্য ৫৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা কার্যালয় চাষীদের তালিকা তৈরী করে তাদের প্রত্যেককে ৫টি করে উন্নত নারিকেল চারা রোপণের জন্য প্রদান করছে। পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১১ শত জন, ইন্দুরকানীতে ৭ শত, কাউখালীতে ৭ শত, নাজিরপুরে ১ হাজার ২৫০, নেছারাবাদে ১ হাজার ৫৫০, ভান্ডারিয়ায় ১ হাজার এবং মঠবাড়িয়ায় ১ হাজার ৭শত জন কৃষকের তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই চারা বিতরণ কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সংযুক্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, চারা রোপণের সঠিক সময় এবং পদ্ধতি হাতে-কলমে নারিকেল চাষীদের শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এ চারা সঠিকভাবে রোপণ করে এবং নিয়মিত যতœ নিলে এ জেলায় নারিকেলের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রয়োজন মেটানোর পরে অন্যান্য জেলায়ও বিক্রির জন্য পাঠানো সম্ভব হবে। এর ফলে নারিকেল চাষীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং এলাকাবাসীর মধ্যে নারিকেল চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হবে। পতিত জমিতেও অনেকে নারিকেল বাগান করতে পারবে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এ জেলায় ১ ইি জমিও যাতে পতিত না থাকে সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমি চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। পতিত জমি পতিত না রেখে নারিকেল চারা রোপণের উপযুক্ত জমিতে এসকল নারিকেল চারা রোপণ করার জন্য চাষীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছর এ জেলায় ৫ হাজার চাষীর মধ্যে ২৫ হাজার চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হলেও এ বছর ৮ হাজার চাষীর মধ্যে ৪০ হাজার চারা বিতরণ করা হচ্ছে।