বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) মূল ভবনের ১০টি লিফটের মধ্যে আটটি অচল হয়ে থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগী ও স্বজনেরা। লিফটগুলোর যন্ত্রাংশ নষ্টের পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকটও। আরও তিনটি লিফট দ্রুত চালুর চেষ্টা করছে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগ। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটের সামনে প্রতিদিন দেখা যায় মানুষের ভিড়। পাঁচ তলা এ হাসপাতালে ৬০ বছর আগে চালু হয় ১০টি লিফট। সেগুলোর পাঁচটি অচল হয়ে পড়ায় ২০১৫ সালে তিনটি ও ২০২১ সালে দুটি লিফট প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ায় নতুন পাঁচটিসহ আটটি লিফট বর্তমানে অচল হয়ে রয়েছে। একটিতে চিকিৎসক ও স্টাফ এবং অন্যটিতে মুমূর্ষু রোগীদের ওঠা-নামার কাজ চলছে। এদিকে পুরাতন হওয়ার কারণে গত এক বছরের বিভিন্ন সময়ে ১৪ বার লিফটে আটকা পড়েছেন রোগী ও স্বজনেরা। এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘রোগ পরীক্ষার জন্য রোগীকে নিচে নামিয়ে বেডে যাওয়ার জন্য লিফটের সামনে অনেক সময় ঘণ্টা পার হয়ে যায়। মাঝপথে লিফট বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তি আরও বাড়ে। এ ছাড়া একটা লিফটে সিরিয়াল না পাওয়া গেলে অন্যটিতে স্টাফরা ওঠে রোগী বা স্বজনদের নিতে চায় না। লিফটের দায়িত্বপ্রাপ্ত গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেরে বাংলা মেডিকেলের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর আলম বলেন, ‘আমাদের লিফটগুলোও বৃদ্ধ হয়ে গেছে। এগুলোরও এখন পরিবর্তন দরকার। এদিকে গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, যন্ত্রাংশ আমদানি করে আরও তিনটি লিফট চালুর দ্রুত চেষ্টা চলছে। বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম জানান, হাসপাতালের ভবনটি পুরনো হওয়ায় এর বিদ্যুৎসঞ্চালনে ক্রুটি রয়েছে। এ কারনে লিফটগুলো নস্ট হচ্ছে। বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম বলেন, ‘তিনটি লিফটের রক্ষণাবেক্ষণে খুচরা যন্ত্রাংশগুলো লেটার অফ ক্রেডিটের (এলসি) মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনতে হবে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদার এ যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে পারেনি। অচিরেই আমরা এটি চালু করব। অন্যদিকে গণপূর্ত মেডিকেল প্রতিনিধির বলেন ১০টি লিফট চালাতে ৬০ জন জনবল দরকার, আছে সেখানে আছে ১৬ জন।