শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দাবা খেলতে খেলতেই মারা গেলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া আসমা আব্বাসীর ইন্তেকাল রোহিঙ্গা সঙ্কট: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও সহায়তা কমছে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় হাতের টানে ঊঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ দেবিদ্বারে ঝূঁকিপূর্ণ সেতুতে চালক ও যাত্রীদের আতংকে পারাপার পাঁচবিবিতে বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বিক্রি শুরু গাইবান্ধায় দিনমজুরের বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট কোটা বাতিলের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কালীগঞ্জে মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের মিছিল ফরিদপুরে টানা চতুর্থ দিনের মতো চলছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি

ঈশ্বরগঞ্জে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

আতাউর রহমান (ঈশ্বরগঞ্জ) ময়মনসিংহ
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। প্রতিদিনই বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। দিন ও রাত মিলিয়ে থাকছে প্রচুর লোডশেডিং তবে কখনো কখনো বেশি লোডশেডিং শুরু হয় রাতে। সন্ধ্যার পর শুরু হয় থেমে থেমে লোডশেডিং চলে রাতভর। সব মিলিয়ে ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলছেই। তবে গ্রাহকরা বলছে আশেপাশের উপজেলার চেয়ে আমাদের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় লোডশেডিং অনেক বেশি, এর জন্য দায়ী করছেন বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। এমন সমস্যা নিয়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানান মন্তব্য। তারা বলছেন বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের গাফিলতি এমন লোডশেডিংয়ের কারণ। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধগন যদি লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের ভালোভাবে চাপ প্রয়োগ করতো তাহলে এমন লোডশেডিং হতো না। বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং, টেকনিক্যাল সমস্যা, ওভার লোড ও লো-ভোল্টেজ, তেত্রিশ কেবি সমস্যা, গ্রীড সমস্যা, এছাড়াও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখছে ঈশ্বরগঞ্জ পল্লী ও পিডিবি বিদ্যুৎ অফিস। এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও নেই কোনো সমাধান।
দিনরাত সমানতালে লোডশেডিং হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। শুধু পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বিষয়টি এমন নয়, সেই সাথে হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কাজেও প্রচুর সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আর এমন সমস্যার ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সরকারি অফিস আদালতসহ সাধারণ মানুষ। তাই বিদ্যুতের এই সমস্যার সমাধান কি কোনোদিনই হবে না এমন প্রশ্ন উঠে আসছে সকল মহল থেকে। বর্তমানে ঈশ্বরগঞ্জে প্রধান সমস্যা এখন বিদ্যুতের লোডশেডিং।
এউপজেলায় দুইজন সংসদ সদস্য থাকার পরও এমন সমস্যা দেখার জন্য যেনো কেউ নেই এমনটাই বলছেন সাধারণ মানুষ। উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের ইয়াসিন মিয়া নামের এক গ্রাহক বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ১০থেকে ১২বার এমনকি আরও বেশি বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়। এসময় যদি বিদ্যুতের লোকদেরকে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ নাই কেন? এমন কারণ জানতে চাই তখন তারা বলেন গ্রীডে সমস্যা হয়েছে আবার কখনও বলে তেত্রিশ কেবি লাইনে সমস্যা। এছাড়াও নানা ধরনের সমস্যার কথা তারা বলেন। এসময় আমাদের আর বলার কিছু থাকেনা। আসলেই কি বারো মাস তাদের এধরনের সমস্যা! তাহলে এর সমাধান কোনদিন হবে না! এভাবেই সমস্যা নিয়ে আমাদের জীবন পার হয়ে যাবে! তাই লোডশেডিংয়ের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যগন একটু সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। সদর ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ নামে এক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ থাক বা না থাক, মাস শেষে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল ধরিয়ে দিতে ভুল করে না বিদ্যুৎ অফিস। এছাড়া এক মাসের বিল দিতে দেরি হলে পরের মাসের বিলে তা তুলে দিচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধের কোন পদক্ষেপ কেউ নিচ্ছে না। এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম অনিতা বর্ধণ বলেন, উপজেলায় আমাদের পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ২৪ থেকে ২৫ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ মেগাওয়াট, যা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ভালোই পাচ্ছি। তাই এখন যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে এটা দিয়ে লোডশেডিং হওয়ার কথা না। তারপরও যদি লোডশেডিং হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে কিভাবে লোডশেডিং না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ঈশ্বরগঞ্জের আবাসিক প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মামুন বলেন, আমাদের এরিয়াতে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট। এই মুহূর্তে আমরা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী পুরোটাই পাচ্ছি। চাহিদা পাওয়ার পরেও কেন লোডশেডিং হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার কারনে মাঝে মাঝে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে এখন আর বেশি লোডশেডিং হচ্ছে না। আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে তা ঠিক হয়েগেলে আশাকরি লোডশেটিং একেবারেই হবে না। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার বলেন, আসলেই বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে সাধারণ মানুষ খুবই অতিষ্ঠ। সেই সাথে আমাদের অফিস গুলোতেও কাজের প্রচুর সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবো কেন এমন লোডশেডিং হচ্ছে। যদি তাদের কোন টেকনিক্যাল সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়েও কথা বলবো। এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান সুমন বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়টি নিয়ে আমি কাজ করতেছি। এটি একটি সামগ্রিক সমস্যা। আমাদের উৎপাদন কম থাকায় এমন সমস্যাটি হচ্ছে। তবে এই সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রয়োজনে ঢাকার বিদ্যুৎ কমিয়ে মফস্বল এলাকায় বিদ্যুৎ বাড়িয়ে দিতে।
সাধারণ মানুষ দায়ী করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার কারনে মাঝে মাঝে লোডশেডিং হচ্ছে..আবাসিক প্রকৌশলী
চাহিদা অনুযায়ী যা পাচ্ছি তা দিয়ে ভালোই চলছে বর্তমানে কোন লোডশেডিং নেই-ডিজিএম
লোডশেডিংয়ে আমাদের অফিসের কাজের সমস্যা হচ্ছে…… ইউএনও
এটি একটি সামগ্রিক সমস্যা। তারপরও বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য আমি কাজ করতেছি..সংসদ সদস্য




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com