তাকওয়া তথা খোদাভীতি সৃষ্টি হয় গোনাহমুক্ত জীবন গঠনের দ্বারা। আল্লাহ তায়ালা কুরআন কারিমে অনেক জায়গায় তাকওয়া অর্জনের আদেশ করেছেন। বলেছেন, ‘হে ঈমানদাররা! আল্লাহকে ভয় করো। তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্য রাস্তা তালাশ করো এবং তাঁর রাস্তায় মেহনত করো। যাতে এসব কিছুর ফলে তোমাদের সফলতা অর্জিত হয় দুনিয়াতেও, আখিরাতেও।’ (সূরা মায়েদা : ৩৫)
মুফাসসিররা ‘তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্য রাস্তা তালাশ করো’ এ অংশের ব্যাখ্যায় দুটি বিষয়ের কথা বলেন, এক. বেশি বেশি নেক আমল করা। দুই. আল্লাহওয়ালা এবং বুজুর্গ ব্যক্তিদের সান্নিধ্য গ্রহণ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য সবচেয়ে ফলপ্রসূ আমল যেটা তা হলো সবসময় মাথায় এই বিষয়টা রাখা যে, আমি যা কিছু করছি সব কিছু আল্লাহ তায়ালা পর্যবেক্ষণ করছেন। যেমনটি কুরআনে এসেছে, ‘তোমরা যা করছ, সব তিনি জানেন।’ (সূরা নাহল : ৯১) তাহলে আমাদের সব পাপ ও অন্যায় কাজ কমে যাবে। কোনো খারাপ কাজ করতে গেলেই এই ভাবনা চলে আসবে যে, আল্লাহ তায়ালা তো দেখছেন।
তাকওয়া অর্জনের জন্য আরো যে দুটি বিষয়ের ওপর আমল করা বেশি জরুরি তা হচ্ছে, জবান ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করা। কারণ, মানুষ যত পাপ কাজ করে তার অধিকাংশই হয় এই দুই অঙ্গের দ্বারা। সাহল ইবনে সা’দ রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি উভয় চোয়ালের মধ্যভাগ তথা জিহ্বা এবং উভয় পায়ের মধ্যভাগ তথা লজ্জাস্থান হেফাজত করার দায়িত্ব গ্রহণ করবে আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করব।’ (সহিহ বোখারি : ৬৪৭৪)। লেখক : প্রবন্ধকার