শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

বিএনপি নেতা ও রাসিক সাবেক মেয়র বুলবুল আহত

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার নাটোরে সমাবেশশের আয়োজন করে বিএনপি। এ সমাবেশে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রবীণ নেতা মো: শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ও প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গুরুতর আহত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রবীণ নেতা মো: শহিদুল ইসলাম বাচ্চুসহ দু’জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরো রয়েছেন- জেলা শ্রমিকদলের দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন চপল, পৌর বিএনপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হিপলু।
এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ ও যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় নাটোরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুসারীরা। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু শহরের ফৌজদারী পাড়ার বাসা থেকে বিএনপি অফিসে আসার সময় নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে রাস্তার কাঁদা মাটির মধ্যে তাকে ফেলে রাখে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তারা আরো জানান, অনুষ্ঠানে আসার পথে জেলা শ্রমিকদলের দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন চপলকে মারপিট করে। পরে ১০টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বক্তব্য শুরু করলে পুনরায় সমাবেশে হামলা করা হয়। হামলায় বুলবুলসহ আরো কয়েকজন এ সময় আহত হন। এছাড়া সমাবেশে যোগ দিতে আসা অরো অনেক নেতাকর্মীকে শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা করে মারপিট করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
রহিম নেওয়াজ বলেন, যারা হামলা করেছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। নাটোরে একের পর এক হামলার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এসব সন্ত্রাসীরা একের পর এক হামলা করার সাহস পাচ্ছে। এসব হামলার সময় পুলিশ নির্লিপ্ত থাকারও অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব। সমাবেশের সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ করেছেন যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন। এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার পথে বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম বাচ্চুসহ তিনজনের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। তবে কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। পুলিশ উদঘাটনের জন্য কাজ করছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com