সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়ছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ১২৩ পয়েন্ট। আর লেনদেন বেড়ে ৮০০ কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। এতে গত ১৩ মে’র পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। আর দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩৫০ এর বেশি প্রতিষ্ঠান। ডিএসই’র মতো অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে বাজারটিতে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়ছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখীর দেখা মিলে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দাম বাড়ার তালিকা। ফলে সবকটি সূচকের বড় উত্থান দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের। আর ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে।
দিনের লেনদেনর বেশিরভাগ সময় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে বিপুল পরিমাণ ক্রয় আদেশ আসে। বিপরীতে শূন্য হয়ে পড়ে বিক্রয় আদেশ ঘর। ফলে দিনের সর্বোচ্চ দামেই এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৭০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৩৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় বাড়েনি, চলতি বছরের ১৩ মে’র পর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।
এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ১৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, সাইফ পাওয়ার টেক, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, লাভেলো আইসক্রিম, বেস্ট হোল্ডিং এবং মালেক স্পিনিং। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩০৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।