দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কৃষির কোন বিকল্প নেই। আমরা এক সময় ছোট বেলায় পাটের উপর রচনা লিখতাম। পাটকে বলা হতো বাংলাদেশের সোনালী আঁশ। এই সোনালী আঁশ আজকে পলিথিন সিন্ডিকেটের কারনে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে। বাজার থেকে পাটের ব্যাগ হারিয়ে গেছে। কৃষক, শ্রমিক, খামার, কুমার সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করে ছিলেন। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল এই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। আজ দেশে কোন মঙ্গা হয়না, সারের দাবিতে কৃষককে প্রাণ দিতে হয়না। এবারের ঈদুল আজহার ঈদে দেশীয় গরু দিয়ে বেশিরভাগ কোরবানী দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পর আরো গরু উদ্বৃত্ত রয়েছে। খামারীর সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার কৃষকদের ভর্তুকি দিচ্ছেন। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পটিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বিনামূল্যে আমন বীজ, সার ও নারিকেল চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলাউদ্দীন ভূঞা জনী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলম দিদার, ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এমদাদুল হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল,জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দীন, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খান টিপু,আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১২০০ জন কৃষকের মাঝে নারিকেল চারা, বীজ ধান ও সার বিতরণ করা হয়। একই দিন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কারিগরী সহায়তায় জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ১৩টি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় উচু, নিচু ৯৯ জোড়া বেঞ্চ বিতরণ করা হয়।