আনন্দ-উৎসব পরিবেশে থেমে থেমে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা সড়কে বসে মোবাইল লুডু,ক্রিকেট ও ভলিবল খেলার মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের ফলে দক্ষিণাঞ্চল সহ সারা দেশের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে দীর্ঘক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রীবাহি ও বিভিন্ন ছোট বড় মালবাহি যানবাহন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১১টা থেকে জেলার কেন্দ্রীয় নতুল্লাবাত বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর কোটা বাদে বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিলের দাবি জানায়। সড়ক অবরোধের ফলে মহাসড়কে অন্তত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাধারন যাত্রী ও বিভিন্ন পথচারি দুর্ভোগে পড়ে। তবে এসময় শিক্ষার্থীরা রোগিবহনকারী এ্যামবুলেন্স গাড়িগুলো পাড় করে দেয় গাড়ি আন্দোলন শিক্ষার্থীরা। এর পূর্বে সড়ক অবরোধ এলাকা থেকে বরিশাল ৪ আসন হিজলা মেহেন্দিগঞ্জের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য শাম্মি আহমেদের গাড়ি নিয়ে তারই ভাই ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহাব আহমেদ যেতে চাইলে ছাত্ররা সেই গাড়ি আটকে দেয়।এ দিকে আন্দোলন সফল করতে যেকোনো পরিস্থিতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিএম কলেজ শিক্ষার্থী হুজাইফা রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশকে মুক্ত করা হলেও আজ কোটা পদ্ধতি পাকিস্তানি শোষণ-বৈষম্য বহন করছে। আমরা এ কোটা পদ্ধতি থেকে মুক্তি চাই। আমাদের দাবি হলো- মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হোক। আমরা শিক্ষার্থীরা আগের মত ক্লাসে ফিরে যেতে চাই রাজপথে বসে থাকতে চাইরা। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে আমাদেরকে ক্লাসে ফিরিয়ে নিন। বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে আটকা পড়া গাড়ি সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল শুরু করে। অপরদিকে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকাল ৩টা থেকে বরিশাল পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ও বরিশাল ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। রাতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে কোটা বাতিলের দাবীতে মর্শাল মিছিলের আয়োজন করে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী সুজয় শুভ।